আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
136 views
in সালাত(Prayer) by (48 points)
আসসালামু-আলাইকুম।
কোনো এক্সিডেন্টে গুরুতর আহত ব্যাক্তি অথবা আগুনে পুড়ে আহত ব্যাক্তি। এরা নিজের যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাতে থাকে। ব্যাথায়, জ্বলায়!  এমন অবস্থায় তাদের উপর নামাজের বিধান কি? বা তারা কিভাবে আদায় করবে প্রতি ওয়াক্তে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

যদি বেহুশ অবস্থায় কারো পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে কম নামায কা'যা হয়ে যায়,তাহলে উনি নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।উনার জন্য পরামর্শ হলো,উনি জামাতে ইমামের সাথে নামায পড়ে নিবেন তাহলে আর এ জাতীয় সমস্যায় পড়তে হবে না।যদি জামাতে শরীক হতে না পারেন,তাহলে উনার ধারণামত বিশুদ্ধ হয়েছে এমন ভাবে নামায পড়ে নিবেন।উনার জন্য নামায মাফ নেই।তবে তাখফিফের হুকুম উনার বেলায় প্রযোজ্য হবে।মাতাপিতার ডাকে নামায ভঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1855

যদি বেহুশ অবস্থায় কারো পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে বেশী নামায কা'যা হয়ে যায়,তাহলে উনি অার শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন না। তবে যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বেই হুশ চলে আসে,তাহলে উনি শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন। যথাসম্ভব নামায আদায়ের চেষ্টা করবেন,নতুবা কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে যাবেন।নিজ জীবদ্দশায় নামাযের কাফ্ফারা আদায় করা সমুচিত নয়।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৫১১)(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৫৪)অক্ষম ব্যক্তির নামায সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1411

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তি সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও যদি নামায পড়তে অক্ষম হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি পরবর্তীতে সুস্থ হলে উক্ত নামাযকে কাযা করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 103 views
0 votes
1 answer 171 views
+1 vote
1 answer 273 views
...