আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
247 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (86 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, আমার আব্বুর আমরা চার সন্তান, দুই ভাই,  দুই বোন, আমার বড় ভাই আব্বু এবং আম্মা জীবিত থাকা অবস্থায় পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে মারা যান,  এবং একজন কন্যা সন্তান রেখে যান, অর্থাৎ এখন আব্বুর সন্তান 3 জন. এবং বড় ভাইয়ের ঘরে একজন মেয়ে, তাহলে আমার বড় ভাইয়ের মেয়ের সম্পদ বন্টন টা কিভাবে হবে ?অর্থাৎ সে সম্পত্তির কত অংশ ভাগ পাবে ?

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাব
 وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো, মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
দলিলঃ

সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)

* উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী দূরবর্তীর উপর প্রাধান্য পাবে। হাদীস শরীফে আছে :
عن ابن عباس رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : الحقوا الفرائض بأهلها، فما بقي فهو لأولى رجل ذكر.
 ‘‘যাবিল ফুরুযের (কুরআনে যাদের অংশ নির্ধারিত তাদের) অংশ তাদেরকে দিয়ে দাও। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা সবচেয়ে নিকটবর্তী পুরুষ আত্মীয় পাবে।’’-সহীহ বুখারী ৬৭৩৫

এই বিধান অনুযায়ী মৃতের সম্পত্তি থেকে সর্বপ্রথম যাবিল ফুরুয অংশ পাবে। এর পর আসাবা। যাবিল ফুরুয এবং আসাবা না থাকলে যাবিল আরহাম অংশ পাবে।

* ‘‘ইজমা’’ শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ অকাট্য দলীল।
ছেলের বর্তমানে নাতী, নাতনীর মীরাস না পাওয়া সাহাবায়ে কেরামের ইজমা এবং এর পরবর্তী সকল আহলে ইলমের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। 

أجمع أهل العلم على أن بني الابن وبنات الابن لا يرثون مع بني الصلب شيئًا.
সকল আহলে ইলম এর ইজমা যে, ছেলের ছেলে-মেয়ে মৃতের ছেলে থাকাবস্থায় কোন উত্তরাধিকার পাবে না।-আলআওসাত ৭/৩৮৩

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা মারা গেলে আপনার বড় ভাইয়ের মেয়ে কোনো সম্পদ পাবেনা।আপনার বড় ভাইয়ের কোনো সম্পদ থাকলে সেই সম্পত্তির অর্ধেক সেই মেয়ে পাবে।  
সেই মেয়ে তার দাদা তথা আপনার বাবা থেকে কোনো সম্পদ পাবেনা। 

সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾ 

আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না । এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...