উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো চলন্ত যানবাহনে নামাযের সময় হয়ে গেলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে নিবে। দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে বসে ইশারা করে নামায পড়ে নিবে।
এই নামায পরে আর পরবর্তীতে পুনরায় পড়তে হবেনা।
★উল্লেখ্য যে যদি সেজদাহ করা সম্ভব হয়,তাহলে ইশারা করে নামাজ পড়া জায়েয হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে বায়্যিনাত ২/৩২৪)
অন্যথায় ইশারা করে সেজদাহ করবে।
রুকুর তুলনায় সেজদায় একটু বেশি ঝুকবে।
কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাযে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামায শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামায আদায় করতে না পারলে এই নামায পরে কাযা করতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামায আদায় করতে পারলে পরে তা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)
যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
সুতরাং আপনি উপরে উল্লেখিত নিয়মের আলোকে গণপরিবহনে নামাজ পড়তে পারবেন।