আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
371 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমার মামা শশুর আমাদের বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন তাই পরে সে বাসায় এসে সবার সামনে আমার স্বামীকে ৫০০০০ টাকা দিয়েছে আর বলেছে আমাকে যাতে ভালো কোন গিফট কিনে দেয়।কিন্তু আমার স্বামী ওই টাকা দিয়ে বলতেছে ওয়ালিমা করবে।আর এখন ওই টাকা থেকে কিছু টাকা সে ৪০০০ টাকা ভাংছে আর আমাকেও কিছু কিনে দিচ্ছে। আমি বলেছি ওয়ালিমা করার পর যা টাকা থাকবে তা দিয়ে আমাকে স্বর্ণের কিছু কিনে দিন কিন্তু সে তাতে রাজি না।সে বলতেছে ওই টাকা তার মামা দিছে সে যা বলবে তা ই হবে।ওই টাকার উপর কি আমার কোন অধিকার আছে।আমি কি ওই টাকা আমার স্বামীকে না জানিয়ে ব্যবহার করতে পারব? এটা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1382 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﺗﻬﺎﺩﻭﺍ ﺗﺤﺎﺑﻮﺍ »
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা পরস্পর হাদিয়া দাও তবে তোমাদের পরস্পর মহব্বত সৃষ্টি হবে।(আল-আদাবুল মুফরাদ)ইরওয়াউল গালিল-৬/৪৪

হাফেয ইবনে আব্দুল বার রাহ বলেন,
[ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﺒﻞ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻧﺪﺏ ﺃﻣﺘﻪ ﺇﻟﻴﻬﺎ، ﻭﻓﻴﻪ ﺍﻷﺳﻮﺓ ﺍﻟﺤﺴﻨﺔ ﺑﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ﻭﻣﻦ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻣﻊ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺃﻧﻬﺎ ﺗﻮﺭﺙ ﺍﻟﻤﻮﺩﺓً ﻭﺗُﺬﻫﺐ ﺍﻟﻌﺪﺍﻭﺓ ]
রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়াকে গ্রহণ করতেন,এবং হাদিয়া দিতে উম্মতকে উৎসাহ দিতেন।এতেই নিহিত রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উত্তম আদর্শ ও নমুনা।সুন্নাতের অনুসরণে হাদিয়ার তাৎপর্য হল যে,তা মহব্বত সৃষ্টি করে ও শত্রুতাকে দূর করে।(ফতহুল মালিক-৯/৩৫৮-৩৫৯) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1382

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মৌখিক সম্মতি বা মৌন সম্মতি ব্যতীত একে অন্যর সম্পত্তিতে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1111

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মামা শশুড় কর্তৃক প্রদত্ব টাকার মালিক আপনিই। আপনার টাকা দ্বারা স্বামী ওয়ালিমা করতে পারবে না।আপনার অনুমতি ব্যতিত কোনো কাজেই লাগানো যাবে না। আপনি স্বামীকে না বলে ঐ পরিমাণ টাকা নিজ কাজে লাগাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
আসসালামুআলাইকুম 
কিন্তু একটা কথা আমার স্বামী তো টাকা গুনে রাখে না।এখন আমি যদি ওখান থেকে অল্প করে কিছু টাকা নেই পড়ে তার কাছে যদি মনে হয় যে টাকা কম আছে।সে যদি আমাকে কোনদিন জিজ্ঞাসা করে সে ক্ষেত্রে আমি কি করবো।সে ক্ষেত্রে কি মিথ্যা বলা জায়েজ হবে।কারণ সত্য বললে তো আমি তার কাছে সারা জীবনের জন্য বিশ্বাসঘাতক নামে পরিচিত হব। আর সে আমাকে অনেক বিশ্বাস করে আলহামদুলিল্লাহ
by (597,330 points)
আপনি তার কাছে প্রথমে আপনার দাবী উত্তাপন করুন। তারপর তাকে বলুন, আমাকে টাকা না দিলে আমি যেকোনো ভাবে আপনার কাছ থেকে উসূল করবো। তারপর যদি তার পকেট থেকে আপনি  ঐ পরিমাণ টাকা যা আপনার পাওনা, সেই পরিমাণ টাকা যদি আপনি তার কাছে থেকে নিয়ে নেন, তাহলে সে কখনো জিজ্ঞেস করলে তাকে পূর্বের কথা স্বরণ করিয়ে দিবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...