উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
এই মাসআলা নিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত আছে।
,
তবে অনেক আলেমের বক্তব্য হচ্ছে, যদি তাঁদের সৌন্দর্য কোঁকড়ানো চুল সোজা করার মাধ্যমে মনে করেন, যদি তাহলে তাঁরা সোজা করতে পারেন, এটি জায়েজ রয়েছে।
,
কারণ, এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির মধ্যে কোনো ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয় না। এটি শুধু সৌন্দর্য পরিবর্তন, এতটুকুই, আর কিছুই না। তাই পুরুষ বা মহিলাদের জন্য যদি তাঁরা প্রয়োজন মনে করেন এবং তাঁরা মনে করেন কোঁকড়ানো চুলে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে চুলকে সোজা করা জায়েজ রয়েছে।
,
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُحِبُّ التَّيَمُّنَ فِي طُهُورِهِ إِذَا تَطَهَّرَ وَفِي تَرَجُّلِهِ إِذَا تَرَجَّلَ وَفِي انْتِعَالِهِ إِذَا انْتَعَلَ .
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্রার্জন, চুল আচড়ানো এবং জুতা পরার বেলায় ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালোবাসতেন।
(মুসলিম শরীফ ৫০৯)
রাসূল (সা.)-এর হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে রাসূল (সা.) চুল আঁচড়াতেন, চুল এলোমেলো থাকলে সৌন্দর্যের জন্য হাত দিয়ে চুলকে সাজাতেন।
তাহলে বোঝা গেল, এখানে স্বাভাবিক যে তাজমিল বা সৌন্দর্য চুলের জন্য সেটি জায়েজ রয়েছে। এর ওপর অনেক উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে, এ ক্ষেত্রে এভাবে চুল সোজা করা জায়েজ, নাজায়েজ নয়।
,
দাড়ির ক্ষেত্রে একই হুকুম,তবে দাড়ি যেনো পড়ে না যায়,সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
,
তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন এটাকে সম্পুর্নভাবে নিষেধ করেছেন।
,
.
★উল্লেখ্য যে যেহেতু এই বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে,তাই কঠিন প্রয়োজন ব্যাতিত চুল বা দাড়ি স্ট্রেট না করাই উত্তম।