জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কসম ভঙ্গ করলে তার কাফফারা আদায় করা আবশ্যক।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
‘তোমাদের অনর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু, যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছে করে কর সেগুলোর জন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। তারপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদেরকে খেতে দাও, বা তাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি। অতঃপর যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোজা রাখবে। তোমরা শপথ করলে এটাই তোমাদের শপথের কাফফারা। আর তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করো। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]
★প্রতিটি কসমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাফফারা আদায় করতে হয়। একাধিক কসমের জন্য একটি কাফফারা আদায় করা যথেষ্ট নয়।
{ফাতহুল কাদির ৪/৩৬৬; তাবয়িনুল হাকায়িক ৩/৪৩২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৬৮;ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/৫৪৬}
(قَوْلُهُ وَتَتَعَدَّدُ الْكَفَّارَةُ لِتَعَدُّدِ الْيَمِينِ) وَفِي الْبُغْيَةِ: كَفَّارَاتُ الْأَيْمَانِ إذَا كَثُرَتْ تَدَاخَلَتْ، وَيَخْرُجُ بِالْكَفَّارَةِ الْوَاحِدَةِ عَنْ عُهْدَةِ الْجَمِيعِ. وَقَالَ شِهَابُ الْأَئِمَّةِ: هَذَا قَوْلُ مُحَمَّدٍ. قَالَ صَاحِبُ الْأَصْلِ: هُوَ الْمُخْتَارُ عِنْدِي. اهـ. مَقْدِسِيٌّ، وَمِثْلُهُ فِي الْقُهُسْتَانِيُّ عَنْ الْمُنْيَةِ (رد المحتار، كتاب الايمان، مطلب تتعدد الكفارة لتعدد اليمين-3/714)
সারমর্মঃ
কসম একাধিক হলে কাফফারাও একাধিক হবে।
ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর মতে যদি কসম একাধিক হয়্র যায়,তখন এক কাফফারা আরেকটির মধ্যে প্রবেশ করে। তথা একটি কাফফারাই যথেষ্ট হয়।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কসম গুলো যদি এমন হয়ে থাকে,যেগুলো আপনি আল্লাহরন নামে বা আল্লাহর গুনবাচক নামে,কুরআনের নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম খেয়ে ভেঙ্গে ফেলে থাকেন,তাহলে অনুমান করে সেই কসমের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে প্রত্যেকটি কাফফারা আদায় করবেন।
তবে আর্থিক ভাবে খুবই অসচ্ছল হলে কিছু স্কলারদের ময় মেনে শুধু একটি কাফফারা আদায় করতে পারবেন।