নামাজের জন্য অজু শর্ত।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ ۚ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٥:٦]
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ,তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং মাথাকে মাসাহ কর ও পদযুগল গিটসহ ধৌত কর। যদি {সূরা মায়িদা-৬}
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم: مفتاح الجنة الصلاة و مفتاح الصلاة الوضوء
‘জান্নাতের চাবি হলো নামাজ। আর নামাজের চাবি হলো অজু।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ৪]
অপর হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه و سلم قال: لا تقبل صلاة بغير طهور
‘পবিত্রতা ছাড়া কোনো নামাজ গ্রহণ করা হবে না।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ১]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন নামাজ জায়েজ নেই।
কেহ যদি এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া সেজদা করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
,
যদি কেহ এ বিশ্বাসে অজু ছাড়া নামায পড়ে যে, ওজু ছাড়াই নামায পড়ার বিধান। তাহলে পবিত্র কুরআনের বিধান অস্বিকার করার কারণে লোকটি কাফির হয়ে যাবে। তাকে নতুন করে ঈমান আনতে হবে।
আর যদি এমনিতেই পড়ে থাকে, তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না। লোকটি সর্বোচ্চ ফাসিক বলা যাবে।
اعلم ان المراد باهل القبلة الذين اتفقوا على ما هو من ضروريات الدين كحدوث العالم وحشر الاجاد وعلم الله تعالى بالكليات والجزئيات وما اشبه ذلك من المسائل المهمات، فمن واذب طول عمره على الطاعات والعبادات مع اعتقاد قدم العالم ونفى الحشر او نفى علمه سبحانه وتعالى بالجزئيات لا يكون من اهل القبلة، وان المراد بعدم تكفير احد من اهل القبلة عند اهل السنة انه لا يكفر احد ما لم يوجد شيئ من امارات الكفر وعلاماته، ولم يصدر عنه شيئ من موجباته، (شرح الفقه الاكبر-189)
ভাল করে জেনে রাখ যে, আহলে কিবলা দ্বারা উদ্দেশ্য হল ঐ ব্যক্তি, যে ঐ সকল আক্বিদাকে মান্য করে, যা দ্বীনের আবশ্যকীয় বিষয়। যেমন পৃথিবী সৃজিত বস্তু, কিয়ামত, হাশর-নশর, আল্লাহ তাআলার ইলম সমস্ত দেখা অদেখা বস্তুর উপর বিস্তৃত। এমন ধরণের অন্যান্য আক্বিদা। যে ব্যক্তি সারা জীবন ইবাদত বন্দেগীতে কাটায়, কিন্তু এর সাথে পৃথিবী সৃজিত নয় বরং প্রাকৃতিক বলে বিশ্বাস করে, কিংবা কিয়ামতে মানুষের জীবিত হওয়াকে বা অথবা আল্লাহ তাআলার ইলম বিস্তৃত হওয়াকে অস্বিকার করে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি আহলে কেবলার অন্তুভূক্ত নয়। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে আহলে কেবলাকে কাফের না বলার দ্বারা উদ্দেশ্য এটাই যে, এসব ব্যক্তিদের মাঝে কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত কাফের বলা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের থেকে এমন কোন কাজ সংঘটিত হয় যা কুফরীর আলামত বা কুফরকে আবশ্যক করে।
(শরহুল ফিক্বহিল আকবার-১৮৯}