আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আস সালামআলাইকুম,আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার মা ২য় বিবাহে আবদ্ধ হয়ে পড়েন,আমার মায়ের সাথে আমার ২য় বাবার অনেক ঝগড়া বিবাদ হয়,তাদের সম্পর্ক টা টানাপোড়েন মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ও মাঝে মাঝে যায়।আমার মা বিভিন্ন ফকির,পীরের কাছে গিয়ে তাবিজ নিয়ে এসে খাটের নিচে রেখে দেয়,মাটির ঢিবি নিয়ে এসে খাটের নিচে রাখেন।আমি মাকে বলেছি যে এসব কাজ ইসলামে শরীয়তে নিষিদ্ধ।তিনি আমার কথা শোনেন না,আমাকে বকা দেয়,মাঝেমধ্যে চিল্লাচিল্লি করেন এবং বলেন ফকির,পীর সাহেব নাকি হাদিস মেনে এসব কাজ করেন।আল্লাহ ভালো জানেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এসব কী কুফরীর মধ্যে পড়ে কি না?আমি আর আমার ছোট বোন এসব কাজ দেখি,জানি।প্রতিবাদ করার উপায় নাই।এসব কাজের জন্য কী আমি ও আমার ছোট বোন ও কি গুনাহের ভাগিদার হচ্ছি কি না জানাবেন? এসব বিষয় থেকে বাঁচার পদক্ষেপ দয়া করে জানাবেন।আমরা কি ঈমান হারা হয়ে যাচ্ছি কি না?দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/9426 নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে,
ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন যে,

عن ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱ ، ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗﺎﻝ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ َ: ﻋُﺮِﺿَﺖْ ﻋَﻠَﻲَّ ﺍﻷُﻣَﻢُ ﻓَﺮَﺃَﻳْﺖُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﻭَﻣَﻌَﻪُ ﺍﻟﺮُّﻫَﻴْﻂُ ( ﺟﻤﺎﻋﺔ ﻗﻠﻴﻠﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ ) ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﻭَﻣَﻌَﻪُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﻭَﺍﻟﺮَّﺟُﻼﻥِ ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﻟَﻴْﺲَ ﻣَﻌَﻪُ ﺃَﺣَﺪ ٌ. ﺇِﺫْ ﺭُﻓِﻊَ ﻟِﻲ ﺳَﻮَﺍﺩٌ ﻋَﻈِﻴﻢٌ ، ﻓَﻈَﻨَﻨْﺖُ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ . ﻓَﻘِﻴﻞَ ﻟِﻲ : ﻫَﺬَﺍ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ، ﻭَﻗَﻮْﻣُﻪُ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﺍﻧْﻈُﺮْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻷُﻓُﻖِ ، ﻓَﻨَﻈَﺮْﺕُ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺳَﻮَﺍﺩٌ ﻋَﻈِﻴﻢٌ ، ﻓَﻘِﻴﻞَ ﻟِﻲ : ﺍﻧْﻈُﺮْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻷُﻓُﻖِ ﺍﻵﺧَﺮِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺳَﻮَﺍﺩٌ ﻋَﻈِﻴﻢٌ ، ﻓَﻘِﻴﻞَ ﻟِﻲ : ﻫَﺬِﻩِ ﺃُﻣَّﺘُﻚَ ﻭَﻣَﻌَﻬُﻢْ ﺳَﺒْﻌُﻮﻥَ ﺃَﻟْﻔًﺎ ﻳَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣِﺴَﺎﺏٍ ﻭَﻻ ﻋَﺬَﺍﺏٍ . ﺛُﻢَّ ﻧَﻬَﺾَ ﻓَﺪَﺧَﻞَ ﻣَﻨْﺰِﻟَﻪُ ﻓَﺨَﺎﺽَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻓِﻲ ﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺪْﺧُﻠُﻮﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣِﺴَﺎﺏٍ ﻭَﻻ ﻋَﺬَﺍﺏٍ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺻَﺤِﺒُﻮﺍ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻭُﻟِﺪُﻭﺍ ﻓِﻲ ﺍﻹِﺳْﻼﻡِ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪ ِ، ﻭَﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺃَﺷْﻴَﺎﺀَ . ﻓَﺨَﺮَﺝَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺗَﺨُﻮﺿُﻮﻥَ ﻓِﻴﻪ ؟ِ ﻓَﺄَﺧْﺒَﺮُﻭﻩُ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻫُﻢْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ َﻻ ﻳَﺴْﺘَﺮْﻗُﻮﻥَ ﻭَﻻ ﻳَﺘَﻄَﻴَّﺮُﻭﻥَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻠُﻮﻥَ . ﻓَﻘَﺎﻡَ ﻋُﻜَّﺎﺷَﺔُ ﺑْﻦُ ﻣِﺤْﺼَﻦٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﺩْﻉُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﻌَﻠَﻨِﻲ ﻣِﻨْﻬُﻢْ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﻧْﺖَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ . ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻡَ ﺭَﺟُﻞٌ ﺁﺧَﺮُ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺍﺩْﻉُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺃَﻥْ ﻳَﺠْﻌَﻠَﻨِﻲ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺳَﺒَﻘَﻚَ ﺑِﻬَﺎ ﻋُﻜَّﺎﺷَﺔُ " ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ 5705 ، ﻣﺴﻠﻢ 220 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সামনে সকল উম্মাতকে পেশ করা হয়েছিল। তখন আমি দেখেছি) দু’একজন নবী পথ চলতে লাগলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে লোকজনের ছোট ছোট দল। কোন কোন নবী এমনও আছেন যাঁর সঙ্গে একজনও নেই। অবশেষে আমার সামনে তুলে ধরা হল বিশাল দল। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এটা কী? এ কি আমার উম্মাত? উত্তর দেয়া হলঃ না, ইনি মূসা আঃ) এবং তাঁর কওম। আমাকে বলা হলঃ আপনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে তাকান। তখন দেখলামঃ বিশাল একটি দল যা দিগন্তকে ঢেকে রেখেছে।
তারপর আমাকে বলা হলঃ আকাশের দিগন্তসমূহ ঢেকে দিয়েছে এমন একটি বিশাল দলের প্রতি লক্ষ্য করুন। তখন বলা হলঃ এরা হল আপনার উম্মাত। আর তাদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে চলে গেলেন। উপস্থিতদের কাছে কথাটির কোন ব্যাখ্যা প্রদান করলেন না। যে বিনা হিসাবের লোক কারা হবে?) ফলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হল। তারা বললঃ আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুসরণ করে থাকি। সুতরাং আমরাই তাদের অন্তর্ভুক্ত। কিংবা তারা হল আমাদের সে সকল সন্তান-সন্ততি যারা ইসলামের যুগে জন্মগ্রহণ করেছে। আর আমাদের জন্ম হয়েছে জাহিলী যুগে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ তারা হল সে সব লোক যারা মন্ত্র পাঠ করে না, পাখির মাধ্যমে কোন কাজের ভাল-মন্দ নির্ণয় করে না এবং আগুনের সাহায্যে দাগ লাগায় না। বরং তারা তো তাদের রবের উপরই ভরসা করে থাকে। তখন উক্কাশা ইবনু মিহসান বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! তাদের মধ্যে কি আমি আছি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন আরেকজন দাঁড়িয়ে বললঃ তাদের মধ্যে কি আমিও আছি? তিনি বললেনঃ ‘উক্কাশাহ এ সুযোগ তোমার আগেই নিয়ে নিয়েছে। [৩৪১০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান হলো আক্বিদা বিশুদ্ধ রেখে চিকিৎসা হিসেবে বৈধ কালাম দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করা বৈধ রয়েছে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা যেই তাবিজ নিয়ে আসেন,সেটি যদি বৈধ কালাম দিয়ে হয়ে থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
যদি নাজায়েজ,কুফরি কালাম দিয়ে হয়ে থাকে,তাহলে উক্ত ব্যক্তি, যিনি নাজায়েজ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, তার কাছে যাওয়া আপনার মায়ের জন্য জায়েজ হয়নি।
মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে। 
তবে এতে কুফরী হবেনা।   
তিনি কাফের হবেননা।
,
আপনি এবং আপনার ছোট বোন গুনাহের ভাগিদার হবেননা।
আপনাদের ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 
নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...