টয়লেট থেকে ভেজা জুতা পায়ে দিয়ে আসলে নাপাক হবে কি না?

Question

হোস্টেলের টয়লেটের পাশেই অযুখানা। অধিক ব্যবহারের কারণে টয়লেট ও ওযুখানা সর্বদাই ভেজা থাকে।টয়লেট সেরে ভেজা জুতা পায়ে দিয়ে ছাত্ররা  ওযুখানায় এসে ওযু করে থাকে। ওযু করতে গিয়ে ছাত্ররা গা থেকে শীতের ভারি ভারি পোশাক একটি রশিতে রাখে। অনেক সময় এগুলো ওযুখানার স্যঁাতস্যাঁতে মেঝেতে পড়ে সামান্য ভিজে যায়।প্রশ্ন হল-
এসব শীতের পোষাক নাপাক হবে কি না?
(উল্লেখ্য ওযুখানার মেঝেতে নাজাসাত দেখা যায় না।কিন্তু টয়লেটের ভেজা মেঝে মাড়িয়ে ছাত্ররা এতে আসে)

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।

জবাবঃ-

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

যেহেতু নাপাকি নিশ্চিত নয়, তবে নাপাকির প্রবল ধারণা রয়েছে, তাই সতর্কতামূলক ধৌত করে নেয়াই উচিৎ। এবং তাকওয়ার নিকটবর্তী।

Comments

মুহতারাম, শীতের ভারি পোষাক যদি পুকুরের পানিতে নেড়েচেড় ধুয়া হয়, সেক্ষেত্রে একবার ধুয়ে নিংড়ালেই কি হবে, নাকি তিন বার করতে হবে?

শীতের মোটা জ্যাকেট তিনবার নিংড়িয়ে পানি বের করা তো বেশ কষ্ঠসাধ্য

---

নাপাকি অদৃশ্যমান হলে যথাসম্ভব তিনবারই ধৌত করতে হবে।তিনবার অসম্ভব হলে একবার ধৌত করলেই চলবে।