আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
502 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
তাবলীগ জামাত সরাসরি শিরিকের সাথে লিপ্ত আছে..

তাবলীগ জামাত দল বাতিল পন্থা 72 দলের একটি।

ফাজায়েলে আমলঃ
(১) এরূপ বুজুর্গের সন্তুষ্টি, আমার পরকালের নাজাতের ওছিলা হইবে! (ফাযায়েলে আমালের ভূমিকাতেই আছে)
(২) কোন এক বুজুর্গ ১২ দিন এক ওজু দ্বারা নামাজ পড়েছেন! (ফাযায়েলে নামাজ পৃ: ৯৮)
(৩) কোন এক যুবকের ওছিলা দিয়ে দুয়া করায় খোঁড়া মহিলা ভাল হয়ে গেছে! (ফাযায়েলে নামাজ পৃ: ৯৭-৯৮)
আরো অনেক অনেক শিরিক আর বিদ্বাত ভর্তি তাবলিগ ভাইদের এই প্রধান বইখানি।
ফাযায়েলে আমলে বর্নিত কয়েকটি বিতর্কিত কবর পূজার ঘটনা …

১) “ক্ষুধার্থ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে খাদ্যের আবেদন করে ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই অবস্থায় তার নিকট রুটি আসল, ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তি অর্ধেক রুটি খাওয়ার পর জাগ্রত হয়ে বাকী অর্ধেক রুটি খেলেন।” ফাযায়েলে হ্‌জ্জ, পৃ:১৫৫-১৫৬।

২) জনৈক মহিলা তিন জন খাদেম কর্তৃক মার খাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করলে, আওয়াজ আসল ধৈর্য ধর, ফল পাবে। এর পরেই অত্যাচারী খাদেমগণ মারা গেল। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৫৯।

৩) অর্থাভাবে বিপন্ন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে হাজির হয়ে সাহায্যের প্রার্থনা করায় তা কবুল হল। লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দেখতে পেল যে, তার হাতে অনেকগুলো দিরহাম। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬২-৬৩।

৪) মদীনার মসজিদে আযান দেয়া অবস্থায় এক খাদেম মুয়াজ্জেমকে প্রহার করায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করল। প্রার্থনার তিনদিন পরই ঐ খাদেম মরা গেল। ফাযায়েলে হ্‌জ্জ, পৃ:১৬২-৬৩।

৫) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসায় ব্যর্থ হওয়ায় ঐ ব্যক্তির আত্মীয় (করডোভার এক মন্ত্রী) রোগ্যের আবেদন করে হুজুরের (সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরে পাঠ কার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিকে পত্রসহ মদীনায় প্রেরণ করে। কবরের পার্শ্বে পত্র পাঠ করার পরেই রোগীর আরোগ্য লাভ হয়ে যায়। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬৭।

আলেমগণ হচ্ছে নবীদের ওয়ারিশ আর আমরা আলেম হয়ে জালেমের মত কাজ করি .নিজের বানানো কথাকে নবীজির নামে চালিয়ে দেই.
এই ফাজাআলে আমল বইতে অসংখ্য মিথ্যাচার জেনো আমরা এই মিথ্যাচার দিয়ে মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছি..

আল্লাহ বলেন"হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর,
(QS. Al-Ma'idah 5: Verse 67)
আল্লাহ তাআলার সু-স্পষ্ট আয়াতে বলে দিছে কি দিয়ে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে কিন্তু আমরা কোরআন হাদিস দিয়ে না দিয়ে . আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি বিকৃত পথে আমরা দাওয়াত দিচ্ছি তাই তো মানুষ সালাত আদায় করে.
আবার সুদ খায় ঘুষ খায় অনেক অপকর্মে জড়িত থাকে..
যেদিন আমরা ওহীর আলোকে মানুষকে দাওয়াত দিব সেইদিন মানুষ সৎ পথে চলতে শিখবে ইনশাআল্লাহ

আল্লাহ আমাদের ভুল এবং গোনাহর জিনিস থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন

আব্দুর রহমান বিন আলী আকবর

এই বিষয় সম্পর্কে আপনার কি মতামতম

1 Answer

+2 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/7890 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাবলীগের মাধ্যমে মা'শাআল্লাহ দ্বীনের অনেক কাজ হচ্ছে।সর্বস্থরে দ্বীনের দাওয়াত পৌছার কাজ হচ্ছে।অনেক মানুষ নামায ও দ্বীন শিখছে।

ফাযাইলে আ'মল কিতাব খানাতে অবশ্যই অনেক যঈফ হাদীস রয়েছে।তবে আ'মল ও তারগিবের জন্য যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা বৈধ রয়েছে।
ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন-
ﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺷﺪﺩﻧﺎ ﻭﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻀﺎﺋﻞ ﻭﻧﺤﻮﻫﺎ ﺗﺴﺎﻫﻠﻨﺎ
অর্থঃ যখন আমরা হালাল – হারামে রেওয়ায়েত করি (সনদে খুব) কড়াকড়ি করি। আর যখন ফযীলাত ইত্যাদির ক্ষেত্রে রেওয়ায়েত করি শিথিলতা করি।(হাফেয সুয়ূতী, তাদরীবুর রাবী ১/২৯৮)

মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি অনুযায়ী বলা যায়, যে ফাযাইলে আ'মালের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা ও তার উপর আ'মল করা জায়েয রয়েছে।তবে মাওযু(বানোয়াট/মিথ্যা)বর্ণনার ভিত্তিতে আ'মল করা জায়েয হবে না।

যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা সম্পর্কে জারাহ- তা'দিল এর ইমাম 'ইবনুস সালাহ রাহ,' বলেন,
ﻳﺠﻮﺯ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﺎﻧﻴﺪ ، ﻭﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺎ ﺳﻮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﻣﻦ ﺃﻧﻮﺍﻉ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻀﻌﻴﻔﺔ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺍﻫﺘﻤﺎﻡ ﺑﺒﻴﺎﻥ ﺿﻌﻔﻬﺎ، ﻓﻴﻤﺎ ﺳﻮﻯ ﺻﻔﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺃﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻭﻏﻴﺮﻫﻤﺎ . ﻭﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﻤﻮﺍﻋﻆ، ﻭﺍﻟﻘﺼﺺ، ﻭﻓﻀﺎﺋﻞ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ، ﻭﺳﺎﺋﺮ ﻓﻨﻮﻥ ﺍﻟﺘﺮﻏﻴﺐ ﻭﺍﻟﺘﺮﻫﻴﺐ، ﻭﺳﺎﺋﺮ ﻣﺎ ﻻ ﺗﻌﻠﻖ ﻟﻪ ﺑﺎﻷﺣﻜﺎﻡ ﻭﺍﻟﻌﻘﺎﺋﺪ، ﻭﻣﻤﻦ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻋﻨﻪ ﺍﻟﺘﻨﺼﻴﺺ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ : ( ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻣﻬﺪﻱ ) ، ﻭ ( ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺣﻨﺒﻞ ) ، ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ
মুহাদ্দিসিনে কেরামদের নিকট মাওযু ব্যতীত যঈফ তথা সনদের দুর্বলতা সম্ভলিত হাদীস সমূহ কে  বর্ণনা করা জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে দুর্বলতা কে জনসমক্ষে প্রকাশ করা জরুরী নয়।
তবে শর্ত হল,উক্ত যঈফ হাদীস আল্লাহর সিফাত এবং হালাল-হারাম বা আক্বাঈদ সম্ভলিত হতে পারবে না।সুতরাং ওয়াজ,পূর্ববর্তী ঘটনা,এবং ফাযাইলে আ'মাল ও  সকল উৎসাহ প্রদাণ মূলক বিষয়ে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা যাবে এবং তার ভিত্তিতে আ'মল করা যাবে। যেমন আব্দুর রহমান ইবনে মাহদি রাহ, আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ থেকে হাদীস বর্ণনা করা যাবে।
(মু'আক্বাদাহ ইবনে সালাহ)

ইমাম নববী রাহ উনার কিতাব 'তাক্বরীব' এ লিখেন,
ﻭﻳﺠﻮﺯ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﺎﻧﻴﺪ
ﻭﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺎ ﺳﻮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﻣﻦ ﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ﻭﺍﻟﻌﻤﻞ ﺑﻪ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺑﻴﺎﻥ ﺿﻌﻔﻪ ﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﺻﻔﺎﺕﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺍﻷﺣﻜﺎﻡ ﻛﺎﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻭﻣﺎ ﻻ ﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﻌﻘﺎﺋﺪ ﻭﺍﻷﺣﻜﺎﻡ
এবং মুহাদ্দিসিনে কেরামের নিকট সনদে দুর্বলতা গ্রহণযোগ্য রয়েছে।মাওযু ব্যতীত সনদ হিসেবে যঈফ(দুর্বল) হাদীস বর্ণনা করা জায়েয রয়েছে।এবং এর ভিত্তিতে আ'মল করাও জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে যঈফ উল্লেখ করা জরুরী নয়।তবে শর্ত হল,সেই যঈফ হাদীস আল্লাহর সিফাত,হালাল-হারাম, আক্বাঈদ সম্ভলিত হতে পারবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/984

আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/1687

বিদআত হলো,দ্বীন-ইসলামের অংশ মনে করে কোনো কাজ করা।সুতরাং আখেরি মুনাজাত কে দ্বীন ইসলামের অংশ মনে করে করা বিদআত।জরুরী মনে করে অংশ গ্রহণ করা বিদআত।নতুবা এটা বিদআত হবে না।বরং ভালো ও পছন্দনীয় কাজের আওতাধীন হয়ে জায়েয হবে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/3466

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উনার বক্তব্যর সত্যতার মধ্যে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।তাছাড়া যদি এগুলো সত্যও হয়, তাহলে এগুলো কারামত। আর কারামত প্রমাণিত।বুজির্গানে কেরাম থেকে কারামত প্রমাণিত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কবর সম্পর্কে যে সব বর্ণনা এসেছে, এগুলো কে শিরক বলা যাবে না।বরং এসব তো নবীর কবরের বরকতে আল্লাহই করে দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...