নফল সদকা বা দান যে কাউকে করা যায় বা দেওয়া যায়,এক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম ধনী-গরীব সবাই সমান, সবাইকে দান করা যায়।তবে ফরজ যাকাত তা শুধুমাত্র গরীব মুসলমানকেই দিতে হবে,অমুসলিমকে যাকাত দিলে যাকাতই আদায় হবে না।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّلۡمِزُکَ فِی الصَّدَقٰتِ ۚ فَاِنۡ اُعۡطُوۡا مِنۡہَا رَضُوۡا وَ اِنۡ لَّمۡ یُعۡطَوۡا مِنۡہَاۤ اِذَا ہُمۡ یَسۡخَطُوۡنَ ﴿۵۸﴾
তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা সদকা বণ্টন সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে। অতঃপর এর কিছু অংশ তাদের দেওয়া হলে তারা পরিতুষ্ট হয়, আর এর কিছু অংশ তাদের না দেওয়া হলে তৎক্ষণাৎ তারা বিক্ষুব্ধ হয়। (সুরা তাওবা, আয়াত : ৫৮)
আলোচ্য আয়াতটি সদকার অংশ সংক্রান্ত মুনাফিকদের কথার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে।
,
মুনাফিকরাও সদকার অংশ পেত।
মুনাফিকরা অন্তরে কুফরির কথা লুকিয়ে রাখলেও মুসলমানরা সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বৈষয়িক যেসব সুবিধা ভোগ করে, তা গ্রহণে তারা কার্পণ্য করে না। এমনকি এগুলো হারানোর ভয়েই তারা নিজেদের কুফরির কথা প্রকাশ করে না।
আলোচ্য আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয়, মুনাফিকরাও সদকার অংশ পেত। তবে তাদের মনমতো অর্থ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা নানা আপত্তি করত। সদকা শব্দটি সাধারণত নফল দান-অনুদান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সেই অর্থে যেকোনো অমুসলিমকে দান করা সব আলেমের ঐকমত্যে বৈধ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
مصنف ابن ابی شیبہ :
"عن إبراهیم بن مهاجر قال: سألت إبراهیم عن الصدقة علی غیر أهل الإسلام، فقال: أما الزکاة فلا، وأما إن شاء رجل أن یتصدق فلا بأس."
(المصنف لابن أبي شیبة / ما قالوا في الصدقة یعطي منها أهل الذمة۶؍۵۱۳ رقم:۱۰۴۱۰)
আমি ইব্রাহীমকে অমুসলিমদের দান-খয়রাত করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেনঃ যাকাত, না, কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি (নফল) দান-খয়রাত করতে চায় তাতে কোন অসুবিধা নেই।
আরো জানুনঃ
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নফল দান হিসেবে আপনি নিজের ব্যক্তিগত টাকা থেকে হিন্দু কোনো মেয়ের বিয়েতে সাহায্য করতে পারবেন।