ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا
تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن
تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ
رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র
তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে
হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা : ২৯)
■ আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَأْكُلُوا
أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ
لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنتُمْ
تَعْلَمُونَ
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ
জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
(সূরা বাকারা, আয়াত নং-
১৮৮)
■ আল্লাহ তা'আলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন। তিনি বলেন,
اَلَّذِیْنَ
یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ
یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا
الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ
الرِّبٰوا فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا
سَلَفَ وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ
اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয়
তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার
নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার
আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে
তারা হবে চিরস্থায়ী। (সূরা বাকারা (২) : ২৭৫)
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও
সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা: ২)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. হ্যাঁ,
এডভান্স পেমেন্ট নেওয়া জায়েজ হবে।
২. কুরিয়ার খরচ বেশী রাখা যাবে না। তবে কুরিয়ার ও প্যাকিং খরচ একসাথে রাখতে
পারবেন। তবে বলতে হবে যে, কুরিয়ার ও প্যাকিং খরচ একসাথে এতটাকা রাখা
হয়েছে।
৩. যেহেতু সুন্দরবন এর নীতিমালায় এটি নিষেধ। তাই ভাবে খামে তাদেরকে ধোঁকা দিয়ে
ছোট গাছ বা বীজ পাঠানো যাবে না। প্রয়োজনে অন্য কুরিয়ারে পাঠাতে পারেন। তবে এভাবে
পাঠিয়ে বেচা কেনা করলে তা হালাল হবে। তবে সুন্দরবন কুরিয়ারকে ধোঁকা দেওয়ার গুনাহ
হবে।
৪. ফিতনার আশংকা না থাকলে ছেলেদের সাথে গাছের চারা বা বীজ বিক্রি করার জন্য
চ্যাটিং করতে পারবেন। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন চ্যাটিং করা ঠিক হবে না।
৫. হালাল এপের রেফার করে টাকা
ইনকাম করা জায়েজ। তবে হারাম এপের রেফার করা যাবে না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গেমস ও কোনো হারাম
এপের রেফার করা আপনার জন্য জায়েজ হবে না।