আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম

১. হারাম ইনকাম মানে হারাম খাইলে ইবাদত কবুল হয় না। একজন মানুষ হারাম খাওয়ার পরে বুঝতে পারার পরে তাওবার তিন শর্ত মেনে তাওবা করে এবং আর জীবন এ হারাম খাবেনা এটা আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে যা সে হারাম খাইছে যার হক তাকে দিয়ে দিবে মানে কাফফারা দিয়ে দিবে সেই ওয়াদা ও করে আল্লাহর কাছে, এবং অল্প অল্প করে কাফফারা ও দেয়া শুরু করে।তাহলে ও কি তার ইবাদাত, দোয়া এবং আমল সমস্ত কাফফারা না মিটানো পর্যন্ত তার কোন আমল ইবাদত কবুল হবে না?নাকি তার তাওবা আর কাফফারা র নিয়ত এর জন্য সম্পুর্ন গুনাহ মাফ না হলে ও কাফফারা সব না মিটানো পর্যন্ত তার দোয়া আমল ইবাদত কবুল হবে?কি আশা রাখতে হবে আল্লাহর কাছে কবুল হচ্ছে নাকি না?

২. নিজের নাম হরকত বিহীন ভাবে আরবিতে লিখে, নিচের ছবির মত লকেট বানানো হয় তবে কী তা সব সময় ব্যবহার করা যাবে?

৩. যদি দুই বোনের মধ্যে কোনো একটি ব্যাপার নিয়ে সামান্য মনোমালিন্য হয় এবং ঝগড়া হয় এবং এব্যাপার বাবার কাছে গেলে বাবা বড় বোন ভুল হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বয়সে বড় আর এক সন্তানের জননী বলে সবসময় ছোট বোনকে বকাঝকা, গালিগালাজ করে ইসলামের দৃষ্টিতে তা কতোখানি যুক্তিযুক্ত!!
বা ছোট মেয়ে সৃজনশীল নয় বলে তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করল আর বড় মেয়ে একের পর এক ভুল আর ইসলামিকতা মেইনটেইন করলো না তাও সে সৃজনশীল বলে তার বাবার প্রিয় হয়েই রইলো।
ইসলামে পিতার এমন আচরণ সম্পর্কে কি বলে আর ওই ছোট সন্তানেরাই বা করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি তার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অন্যের হক দিয়ে দেওয়া শুরু করে,তাহলে তিনি তার ইবাদত দোয়া কবুল হওয়ার আশা এখন থেকে করতে পারেন।

(০২)
ফাসেকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ন হওয়ায় উলামায়ে কেরামগন নিষেধ করেন।
,
(০৩)
বাবার এহেন কাজকে ইসলাম সমর্থন করেনা।
ইসলাম ন্যায় বিচারের আদেশ দেয়,প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ কোনো ভাবেই ন্যায় এর ভিতরে পড়েনা।
তবে ছোট মেয়ে এক্ষেত্রে বাবার সাথে অসৌজন্যমূলক কোনো আচরণ করবেনা।
আল্লাহ তায়ালা তাকে উত্তম জাযা দিবেন,ইনশাআল্লাহ।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...