মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا ﴿۱۱۵﴾
আর কারো নিকট সৎ পথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে আমরা ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করাব, আর তা কতই না মন্দ আবাস।
(সুরা নিসা ১১৫)
মুফাসসিরিনে কেরামগন বলেছেন,
এ আয়াত থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা বের হয়। এক. আল্লাহর রাসূলের বিরোধিতাকারী জাহান্নামী। দুই. কোন ব্যাপারে হক তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত প্রকাশিত হওয়ার পর সেটার বিরোধিতা করাও জাহান্নামীদের কাজ। তিন. এ উম্মতের ইজমা বা কোন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছার পর সেটার বিরোধিতা করা অবৈধ। কারণ, তারা পথভ্রষ্টতায় একমত হবে না। মুমিনদের মত ও পথের বিপরীতে চলার কোন সুযোগ নেই।
মহানবী (সা.) ও তাঁর উম্মতের বিশেষ মর্যাদার কারণে তাদের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত তথা ইজমায়ে উম্মত শরিয়তের দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত আয়াতে রাসুল (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও উম্মতে মুহাম্মদির সবার ঐকমত্য রায় ও অভিমত অর্থাৎ ইজমাকে মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর রাসুল (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথে চললে জাহান্নামের শাস্তির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
★সুতরাং কুরআন হাদীসের নীতিমালার আলোকে ইজমার শর্ত মেনে যদি ইসলামী স্কলারগন শরীয়তের কোনো মাসয়ালার ব্যাপারে ইজমা হোন,তাহলে সেটি আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য হবে।
তাই উম্মাহকে সেই মাসয়ালা মানতে হবে।
আরো জানুনঃ