ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
সর্বক্ষেত্রেই ইনসাফ রক্ষা করতে হবে। কাউকে গ্রামের বাড়িতে এবং কাউকে শহরের বাড়ীতে রাখা যাবে না। কাউকে উত্তম বাসায় এবং কাউকে নিম্নস্থরের বাসায় রাখা যাবে না।
(২)
প্রয়োজন অপ্রয়োজন যেকোনো কারণে পুরুষ দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবে। তবে স্বামীকে অবশ্যই সমতা রক্ষা করতে হবে।সমতা কিভাবে রক্ষা করবে? এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, সর্বক্ষেত্রেই সমতা রক্ষা করতে হবে। খোরাকি বাসস্থান সহ যাবতীয় ক্ষেত্রেই সমতা রক্ষা করতে হবে। হ্যা, কারো প্রতি অনিচ্ছাসত্ত্বেও যদি অন্তরের মহব্বত বেড়ে যায়, তাহলে এক্ষেত্রে পুরুষকে কোনোরূপ দোষারোপ করা যাবে না।
(৩)
শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো নারী তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দিতে পারেনা।স্বামীর জন্য চার পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েয। এতে স্ত্রীর অনুমতির কোনো প্রয়োজন নাই।হ্যা, দেশীয় নিয়ম শৃঃখলা এবং নারী নির্যাতন রোধকল্পে সরকার প্রথম স্ত্রীর অনুমতির শর্ত জুরে দিতে বাধ্য হয়েছে। এটা পুরুষদের দোষ। কেননা তারা একাধিক বিয়ে করে ঠিকই কিন্তু সমতা রক্ষা করে না। যদি কোনো স্বামী একাধিক বিয়ে করে সমতাকে রক্ষা করে,তাহলে তার স্ত্রীরাও কোনো অভিযোগ দায়ের করবে না।