কুরআন ধরিয়ে শপথ

Question

আসসালামু আলাইকুম।

একজন লোক আরেকজন কে দিয়ে রাগের মাথায় কুরআন ধরিয়ে প্রশ্ন করেছে সত্য জানার জন্য। সেই লোকটা বাধ্য হয়ে কুরআন ধরে আর মিথ্যা বলতে পারেনি। সত্যটা বলতে বাধ্য হয়েছে। এখন যিনি কুরআন ধরিয়েছে তিনি অনেক অনুতপ্ত। তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। আর যাকে ধরানো হয়েছে তাঁর গোপনীয়তা প্রকাশ পাওয়ায় তিনি অনেক মনোক্ষুণ্ন।
এমতাবস্থায় কি করণীয়? যিনি এই ভুলটা করেছেন তিনি এখন কিভাবে প্রায়শ্চিত্ত করবেন? তিনি দিনরাত কান্নাকাটি করছেন। অনেক মনোকষ্টে ভুগছেন। আর যাকে দিয়ে ধরানো হয়েছে তাঁর সাথে কিভাবে সম্পর্কের উন্নয়ন করবেন?

এভাবে কুরআন ধরানোতে কি আল্লাহ তাআলা নারাজ হবেন?

দয়া করে বলবেন।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।

জবাবঃ-

উভয়ই আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।অন্যর গোনাহ প্রকাশ করতে বাধ্য করার জন্য ঐ ব্যক্তির নিকট অপর ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, এবং সাথে সাথে আল্লাহর কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।