আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
3,856 views
in পবিত্রতা (Purity) by (34 points)
১) অনেক সময় দেখা যায় জামাতে/একাকী সলাতে দাড়ানোর পর বায়ু আসে, সেটা চেপে রেখে সলাত আদায় করি। এক্ষেত্রে কোনো গুনাহ হবে কিনা।
২) আবার অনেক সময় দেখা যায় বায়ু আগে থেকে চেপে রেখে ওযু নষ্ট করলাম না। এরপর সেই অবস্থায়ই সলাতে দাড়ালাম। এক্ষেত্রেও কি গুনাহ হবে?


৩) যদি এমন হয় যে আমার একাকী সলাতরত অবস্ত্থআয় সুরা ফাতিহার ৩ আয়াত পড়েছি এমন সময় বায়ু বের হয়ে গেল, তখন আমি সলাত ছেড়ে অযু করে কোনো কথা না বলে আবার এসে ফাতিহার চতুর্থ আয়াত থেকে শুরু করলাম। এমন করলে কি হবে? আবার এক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার দাড়ানোর সময় কি আলাদা তাকবির দিয়ে /বিসমিল্লাহ বলে/আলাদা কোনো নিয়ত করে দাড়াতে হবে?  নাকি দাড়িয়ে তাকবির না দিয়ে হাত বেধে ফাতিহার ৪র্থ আয়াত থেকে শুরু করবো?
by
১ নামাজ যদি প্রতিদিন মাকরুহ হয় তাহলে কি নামাজ হবে?২ এবং বায়ু চাপ আটকে রেখে নামাজ শুরু করা মাকরুহে তাহরিমী এটা জানতাম না তাই অনেক দিন এরকম বায়ু চাপ আটকে রেখে নামাজ শুরু করেছি তাহলে কি আমার নামাজ হয়েছে 

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

(১.২) শরীয়তের বিধান হলো   প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়ার দ্বারা যদিও নামাজ হয়ে যাবে,তবে এমন করা  মাকরূহ। 
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ২/৮০৬)    
কেননা এতে নামাজের খুশু-খুজু (একাগ্রতা) বিঘ্নিত হয় এবং পরিপূর্ণ তৃপ্তির সঙ্গে হৃদয় মন নিবিষ্ট করে নামাজ আদায় হয় না। তাই এসব চাপ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ তৃপ্তি ও স্থীরতার সঙ্গে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।


হাদিস ও ফিকাহের কিতাবে প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন নামাজ দাঁড়িয়ে যায়- আর তোমাদের কারও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয়; সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়।
-জামে তিরমিজি, হাদিস- ১৪২

হজরত সাওবান রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তির জন্য হালাল নয় কারও গৃহাভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীত দৃষ্টিপাত করা... এবং কেউ যেন প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ না পড়ে। -জামে তিরমিজি, হাদিস- ৩৫৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস- ৯১

হজরত নাফে রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, এক ব্যক্তি পেটে বায়ুর চাপ বোধ করে। তিনি বললেন, বায়ুর চাপ বোধ করা অবস্থায় সে যেন নামাজ না পড়ে। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস- ৮০২২

উপরোক্ত হাদিস ও বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে ইসলামি স্কলাররা বলেছেন, প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আরম্ভ করা মাকরূহে তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের মাঝে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরূহ। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজন শেষ করে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।

তবে হ্যাঁ, নামাজের ওয়াক্ত যদি এত কম থাকে, যাতে প্রয়োজন সারতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাবে; তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নিবে।

অবশ্য পর্যাপ্ত ওয়াক্ত থাকার পরও কোনো ইমাম বা একাকী নামাজ আদায়কারী যদি এ অবস্থায় নামাজ পড়ে নেয় তবে এমনটি করা মাকরূহ হলেও তাদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া জরুরি নয়। তবে ভবিষ্যতে এরূপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। -রদ্দুল মুহতার: ১/৩৪১, ৬৪৪,

,

(০৩)   যদি এমন হয় যে একাকী সলাতরত অবস্থায় আপনি সুরা ফাতিহার ৩ আয়াত পড়েছেন, এমন সময় বায়ু বের হয়ে গেল, তখন আপনি সালাত ছেড়ে অযু করে কোনো কথা না বলে আবার এসে ফাতিহার চতুর্থ আয়াত থেকে শুরু করবেন।  এক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার দাড়ানোর সময়  আলাদা তাকবির দিয়ে /বিসমিল্লাহ বলে/আলাদা কোনো নিয়ত করে দাড়াতে হবেনা।  বরং দাড়িয়ে তাকবির না দিয়ে হাত বেধে ফাতিহার ৪র্থ আয়াত থেকে শুরু করবেন।
,
তবে সাধারণ লোকেরা এই মাসয়ালার ক্ষেত্রে ভুল করতে পারে,তাই তাদের জন্য পুনরায় শুরু থেকে নামাজ পড়ে নেওয়াই ভালো। 
(আপকে মাসায়েল  আওর উনকা হল ২/৮০৭)   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
প্রতিদিন নামাজ মাকরুহ হলে কি নামাজ হবে 
by (569,520 points)
হ্যাঁ, নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...