আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত,

আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে যে,"যে ব্যক্তি ছোটবেলা থেকেই দাড়ি রাখে সে নাকি লায়লী-মজনুর বিবাহ খাবে"

এই কথাটি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কতটুকু সত্য

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই দাড়ি রাখা ওয়াজিব। 
দাড়ি না রাখা কবীরা গুনাহ, এটা এমন গুনাহ,যেটা ২৪ ঘন্টা হতেই থাকে।
তাই ছোট বেলা থেকেই দাড়ি রাখতে হবে।
 
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’
إنه أمر بإحفاء الشوارب وإعفاء اللحية
-সহীহ মুসলিম ১/১২৯
বিভিন্ন হাদীসে আদেশের শব্দগুলোও বর্ণিত হয়েছে। যেমন-
خالفوا المشركين، وفروا اللحى واحفوا الشوارب
‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি বাড়াও ও মোচ কাট।’
(আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫)
خالفوا المشركين، واحفوا الشوارب وأوفوا اللحى
‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং মোচ কাট ও দাড়ি পূর্ণ কর।’ (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯)
انهكوا الشوارب واعفوا اللحى
 মোচ উত্তমরূপে কাট এবং দাড়ি লম্বা কর। (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫)
جزوا الشوارب وارخوا ا للحى، خالفوا المجوس
মোচ কাট ও দাড়ি ঝুলিয়ে দাও, অগ্নিপূজারীদের বিরোধিতা কর।’ (আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯)
উপরের হাদীসগুলোতে চারটি শব্দ পাওয়া গেল :
ارخوا ـ اعفوا ـ أوفوا ـ وفروا
এই সবগুলো শব্দ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লম্বা ও পূর্ণ দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। সুতরাং এভাবেই দাড়ি রাখা ওয়াজিব।
,
★★উল্লেখ্য যে "যে ব্যাক্তি ছোট বেলা থেকেই দাড়ি রাখলে লাইলি মজনুর বিবাহ  খাবে" মর্মে কোনো কথা ইসলামী শরীয়তে নেই।
এটি ভিত্তিহীন কথা। 
এহেন কথা বলা থেকে বিরত থাকা উচিত।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...