মাজলুমের বদদুআ আর আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা মাজলুমের দুআ সরাসরি কবুল করেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছেে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ
“মাজলুমের বদদোয়া থেকে বেঁচে থাক। কারণ তার বদদোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
আখিরাতে জুলুমের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। সে দিন মানুষের অন্যায়-জুলুম-অবিচারগুলো অন্ধকার রূপ ধারণ করে সামনে এসে হাজির হবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
اتَّقُوا الظُّلْمَ ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
“তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাকো। কেননা জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার রূপ নিয়ে হাজির হবে।” (সহীহ মুসলিম)।
সবচেয়ে মহান ন্যায় বিচারক মহান আল্লাহ সে দিন বিচারের কাঠ গড়ায় জালিমদের বিচার করবেন। তিনি মাজলুমের পক্ষে রায় দিবেন। তিনি জালিমের নেকি কর্তন করে মাজলুমকে দান করবেন আর মাজলুমের গুনাহ জালিমের উপর চাপিয়ে দিবেন।
★যদি দুনিয়াতেই একে অপরের সাথে সমঝোতা করে নেয়, ক্ষমা চায় অথবা মাজলুম ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে জালিমকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে তা নি:সন্দেহে উত্তম। এ জন্য সে আখিরাতে প্রতিদান পাবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলা ধৈর্য ধারন করলে সে আখিরাতে প্রতিদান পাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَإِن تَعْفُوا وَتَصْفَحُوا وَتَغْفِرُوا فَإِنَّ اللَّـهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
“যদি তোমরা মার্জনা কর, উপেক্ষা কর এবং ক্ষমা কর, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।” (সূরা তাগাবুন: ১৪)
আল্লাহ আরও বলেন:
وَأَن تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ
“আর তোমরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) এর অধিক নিকটবর্তী।” (সূরা বাকারা: ২৩৭)