জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
অন্যের খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
কারণ পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে।
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে।
,
কিন্তু কারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। কারণ সে যা জানে না। তাও সে জানে বলে প্রকাশ করছে।
,
ফলে পরীক্ষক খাতা দেখে ভাববে উক্ত ছাত্রটি আসলে মেধাবী। কিন্তু আসলেতো মেধাবী নয়। এ ধোঁকাবাজীর কারণে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ নয়।
তাছাড়া পরীক্ষার্থীকে এ শর্তে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয় যে, সে কারো কাছ থেকে দেখে বা বলে লিখবে না। এবং সে কাউকে কোন কিছু দেখাবে না এবং বলেও দিবে না। এ শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এ জায়েজ শর্ত পালন করা উক্ত পরীক্ষার্থীর উপর আবশ্যক।
,
কিন্তু খাতা দেখানো, বা নিজে দেখে লেখা, কিংবা বলে দেয়া বা বলে নেয়ার মাধ্যমে উক্ত শর্তটি লঙ্ঘিত করা হয়। যা জায়েজ হবে না।
আর অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই নিজে দেখে লেখা যেমন অপরাধ হবে। তেমনি অন্যকে দেখে লিখতে সুযোগ করে দিলেও গোনাহগার হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
(০১)
আপনার ssc certificate হালাল থাকবে।
,
(০২)
এই সার্টিফিকেট দিয়ে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এতে সমস্যা নেই।
,
(০৩)
এতে তো চাকরি করেই কাজ করা হবে।
তাই চাকরি/কাজ বৈধ বেতন হালাল থাকবে।
(০৪)
bcs cader হলে বেতন হালাল থাকবে।
(০৫)
Dhaka University ভর্তি পরীক্ষায়এ মার্ক যোগ হলে সমস্যা নেই ।চান্স পেলে Dhaka University তে পড়া হালাল হবে।