আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
619 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আমি এসএসসি ২০২১পরীক্ষার্থ। আজ BIOLOGY পরীক্ষা দিলাম। একেবারে না পরে পরীক্ষা দিয়েছি। সৃজনশীল ২০ নম্বরে হয়েছে।একটি প্রশ্ন্ও নিজে থেকে দেইনি। কারণ পারিনা।২০ই দেখি লিখেছি। mcq 12 numbe. ১১টা দেখি লিখেছি এবং ১২ই পেয়েছি। PHYSICSপরীক্ষাও অন্যের খাতা দেখে লিখেছি নাহলে পাশ করতে পারতাম না।
কিন্তু chemistry সম্পূর্ণ নিজ থেকে দিয়েছি।
১.আমার ssc certificate কি হালাল?

২.আমি এই certificate দিয়ে ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া জায়েজ?মা বাবার অনেক শখ ছিল।

৩।এই certificate দিয়ে চাকরি করজীবনের শেষ প্রান্তে এসে এটুকু বুঝলাম যুগযুগ আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে পরিবার সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার চেয়ে কোন পন্থায় মন্ত্রী এমপি নেতার নিকটাত্মীয় হতে পারলে দলের কাংখিত পদ ও অর্থের মালিক হওয়া অতি সহজ।লে বেতন হালাল হবে?

৪.bcs cader হলে কি       বেতন হালাল?

৫.Dhaka University ভর্তি পরীক্ষায়এ মার্ক যোগ হয়।চান্স পেলে Dhaka University te pora ki halal hobe?
by (4 points)
3 নং প্রশ্নটি হবে _এই certificate দিয়ে চাকরি করলে বেতন হালাল হবে? 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم


অন্যের খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। 
কারণ পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে। 
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে। 
,
কিন্তু কারো কাছ থেকে  জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। কারণ সে যা জানে না। তাও সে জানে বলে প্রকাশ করছে।
,
 ফলে পরীক্ষক খাতা দেখে ভাববে উক্ত ছাত্রটি আসলে মেধাবী। কিন্তু আসলেতো মেধাবী নয়।  এ ধোঁকাবাজীর কারণে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ নয়।

তাছাড়া পরীক্ষার্থীকে এ শর্তে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করানো হয় যে, সে কারো কাছ থেকে দেখে বা বলে লিখবে না। এবং সে কাউকে কোন কিছু দেখাবে না এবং বলেও দিবে না। এ শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীকে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এ জায়েজ শর্ত পালন করা উক্ত পরীক্ষার্থীর উপর আবশ্যক। 
,
কিন্তু খাতা দেখানো, বা নিজে দেখে লেখা, কিংবা বলে দেয়া বা বলে নেয়ার মাধ্যমে উক্ত শর্তটি লঙ্ঘিত করা হয়। যা জায়েজ হবে না।

আর অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই নিজে দেখে লেখা যেমন অপরাধ হবে। তেমনি অন্যকে দেখে লিখতে সুযোগ করে দিলেও গোনাহগার হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
আরো জানুনঃ

(০১)
আপনার ssc certificate হালাল থাকবে।
,
(০২)
এই সার্টিফিকেট দিয়ে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এতে সমস্যা নেই।  
,
(০৩)
এতে তো চাকরি করেই কাজ করা হবে। 
তাই চাকরি/কাজ বৈধ বেতন হালাল থাকবে।

(০৪)
bcs cader হলে বেতন হালাল থাকবে।

(০৫) 
Dhaka University ভর্তি পরীক্ষায়এ মার্ক যোগ হলে সমস্যা নেই ।চান্স পেলে Dhaka University তে পড়া হালাল হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...