জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যে পন্য দ্বারা শুধুমাত্র অবৈধ কাজই করা যায়,যেটি অবৈধ কাজেই শুধু ব্যবহৃত হয়,এমন পন্য বিক্রয় নাজায়েজ।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
ما قامت المعصية بعينه يكره بيعه تحريما وإلا فتنزيها (رد المحتار-9/561)
সারমর্মঃ
যার দ্বারা সরাসরি গুনাহ হয়,সেটির বিক্রয় মাকরুহে তাহরিমি,অন্যথায় মাকরুহে তানযিহি।
وعندهما يكره له ذلك لوجود الإعانة على المعصية، وقد صح أن النبى صلى الله عليه وسلم لعن فى الخمر عشرا وعد منها حاملها والمحمول إليه (مجمع الأنهر، كتال الكراهية، فصل الكسب-4/188، قديم-2/530)
সারমর্মঃ
সাহেবাইন রহঃ এর নিকটে গুনাহে সাহায্যের কারিনে মাকরুহ হবে,,,।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হারাম পন্য যদি এমন হয় যে যার দ্বারা সরাসরি গুনাহ হয়।
তাহলে এ পন্য ক্রয় বিক্রয় যেহেতু নাজায়েজ, তাই আপনার সেই টাকা গ্রহন জায়েজ হয়নি।
তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
,
আর যদি উক্ত পন্যটি এমন হয় যে যার দ্বারা সরাসরি গুনাহ হয়না।
কেহ কেহ এটিকে গুনাহের কাজে ব্যবহার করে,কেহ কেহ এটি বৈধ কাজেও ব্যবহার করে,সেক্ষেত্রে উক্ত টাকা গ্রহন আপনার জন্য জায়েজ আছে।
সেটি ফিরিয়ে দিতে হবেনা।