এটা কি প্রতারণার সামিল?

Question

আসসালামু আলাইকুম
আমার কাছে একজন কিছু টাকা ধার চেয়েছিল। শুরুতে তার কথা শুনে আমি টাকা দিতে পারব বলেছিলাম। কিন্তু পরে তার কথা শুনে আমার সন্দেহ হয়, আমার মনে হয় সে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা খুঁজেছিলো কিন্তু আমাকে মিথ্যা বলেছিলো। আর অসৎ কাজে সাহাজ্য করলে তার সাথে আমিও গুনাহগার হব। তাই আমি পরে কথা ঘুরিয়ে নিয়েছি এবং তাকে টাকা দিইনি। কিন্তু এর জন্যে আমি কিছু মিথ্যা কথাও বলে ফেলেছি। এর জন্যে কি আমি গুনাহগার? এই মিথ্যা কি প্রতারণার সামিল? এবং তার কোন হক কি আমি নষ্ট করেছি?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/644 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা  প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব
(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)

আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি আঁচ করতে পেরেছেন যে, সে অসৎ উদ্দেশ্যে আপনার কাছ থেকে টাকা নিতে চাচ্ছে, তাই আপনি মিথ্যা না বলে বরং তাওরিয়াহ করে তাকে না করে দেন।যদি সর্বশেষ আর কোনো উপায় না থাকে, তাহলে মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আপনি মিথ্যা বলতে পারবেন।