বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
مُسَدَّدٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم قَالَ الْوَلَدُ لِصَاحِبِ الْفِرَاشِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সন্তান হল শয্যাধিপতির। [৬৮১৮; মুসলিম ১৭/১০, হাঃ ১৪৫৮, আহমাদ ৭৭৬৭]
(আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৯৪) হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিস
■ মহান আল্লাহ
তায়ালা ঈসা আ. কে তার মায়ের নামের সাথে যুক্ত করে বলেন-
..وَآتَيْنَا عِيسَى
ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ ۗ أَفَكُلَّمَا
جَاءَكُمْ رَسُولٌ بِمَا لَا تَهْوَىٰ أَنفُسُكُمُ اسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقًا
كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقًا تَقْتُلُونَ
...আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে সুস্পষ্ট মোজেযা দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে
তাকে শক্তিদান করেছি। অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে ভাল লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা
একদলকে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা করেছ। (সূরা বাকারা, আয়াত ৮৭)
■ মহান আল্লাহ
তায়ালা মারইয়ামকে তার পিতার নামের সাথে যুক্ত করে বলেন-
وَمَرْيَمَ ابْنَتَ
عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِن رُّوحِنَا
وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ
আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে
দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয়
প্রকাশকারীনীদের একজন। (সূরা তাহরীম, আয়াত ১২)
■ হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْلَمَ عَلَى صَفِيَّةَ بِنْتِ
حُيَىٍّ بِسَوِيقٍ وَتَمْرٍ .
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উম্মুল
মুমিনীন) সাফিয়্যা বিনত হুয়াই রাদিয়াল্লাহু আনহা এর (বিবাহে) ওয়ালিমা করেছিলেন
শুকনা খেজুর ও ছাতু সহযোগে। - ইবনু মাজাহ ১৯০৯, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০৯৫ [আল মাদানী
প্রকাশনী]
■ হাদীস
শরীফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ
سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ
الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِذَا أُعْطِيتَهَا
عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ فِيهَا إِلَى نَفْسِكَ وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ
مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا " .
আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে ‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ!
রাষ্ট্রীয় পদ চেয়ে নিবে না। কারণ তোমার চাওয়ার কারণে তোমাকে পদ দেয়া হলে এর
দায়-দায়িত্ব তোমার উপরই বর্তাবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য পাবে না)। আর চাওয়া ছাড়া তোমাকে
নেতৃত্ব পদ দেয়া হলে তুমি দায়িত্ব পালনে (আল্লাহর পক্ষ হতে) সাহায্য পাবে।
সুনানে আবু দাউদ,
হাদীস নং- ২৯২৯ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
■ হাদীসটি
তিরমিযী শরীফে এসেছে -
عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ،
عَنْ أَبِيهِ، طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ
كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ
তালক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামী যদি মনোবাসনা পূরণের জন্য তার স্ত্রীকে ডাকে তবে সে যদি চুলার কাছেও
থাকে তবুও যেন অবশ্যই সাড়া দেয়। ’ ইমাম আবূ ইসা(রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। - মিশকাত ৩২৫৭, সহিহাহ ১২০২, তিরমিজী
হাদিস নম্বরঃ ১১৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
■ সহীহ ইবনে
হিব্বানে এসেছে-
عَنْ طَلْقِ بْنِ
عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا الرَّجُلُ دَعَا
زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتجبه وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ " .
তালক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামী যদি মনোবাসনা পূরণের জন্য তার স্ত্রীকে ডাকে তবে সে যদি চুলার কাছেও
থাকে তবুও যেন অবশ্যই সাড়া দেয়। ’ (সহীহ ইবনে হিব্বান, ৪১৬৫) হাদীসটি আরো কিতাবে রয়েছে- মুসনাদে আহমদ, ১৬৩৩১; আল- মুহাল্লা, ১০/৪১; আস সুনানুল কুবরা, ৮৯৭১; আত তারগীব ওয়াত তারহীব, ৩/১০৩
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. ইসলামে
বংশ পরিচয় বাবার থেকে এবং বংশের ধারাবাহিকতা ছেলের থেকেই হয়। তবে কখনো কখনো বাবা
বা ছেলে না থাকলে তখন মা বা মেয়ের থেকেও ধরা হয়। যেমন ঈসা আ. কে তার মায়ের দিকে নিসবত করা হয়। তেমনী ভাবে
রাসূল সা. এর
কোন ছেলে না থাকার কারণে মেয়ের দিক থেকে ধরা হয়েছে।
২. তা
সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে যদি দেখা যায় যে তার থেকে যোগ্য আর অন্য কোনো ব্যক্তি
নেই। আবার অন্য কেউ হলে লাভের থেকে ক্ষতি বেশী হবে তখন পদ-পদবী চেয়ে নেওয়াও জায়েজ ও উত্তম হবে। যেমন
ইউসূফ আ. চেয়ে
নিয়েছিলেন।
৩. গণতন্ত্র
সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://ifatwa.info/15185/?show=15185#q15185
৪. এভাবে কাউকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা ঠিক নয়। এতে
পরবর্তীতে ফিতনা হয়। তবে প্রথম স্ত্রীর সাথে খোলা মেলা আলোচনা করা উচিৎ এবং তাকে বুঝানো
যে, স্বামী
সহবাস করতে চাইলে তাতে রাজী হতে
হয় যদিও নিজের একটু কষ্ট
হয়।