আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
আমি আমার পরিবারের এক ব্যক্তির হক নষ্ট করেছি,তাকে তা জানালে অনেক সমস্যা হবে পরিবারে এবং কলহ হয়ে যাবে,তাই না জানিয়ে আবার তাকে তার হক ফেরত দিয়েছি,কিন্তু আমার সেই টাকা টায় সুদ বা ইন্টারেস্ট মিশ্রিত কিনা তা আমি নিশ্চিত না(আমার ইনকাম সোর্স নেই,বাবার টাকা তাই সুদ আছে বলে ধারণা করছি) তাই ধরে নিয়েছি টাকা টা হালাল নয়,এখন সে ওই টাকা ব্যবহার ও করে ফেলেছে ,এখন আমি যদি আবার কোনোভাবে লুকিয়ে তার থেকে সেই পরিমাণ টাকা নেই এবং তার স্থলে সমপরিমান হালাল টাকা আবার রেখে দেই,তবে কি
১. আমার চুরির গুনাহ হবে?

২.হালাল ১০০০ টাকা রাখায় তার হক আদায় হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


ইসলামী স্কলারগন  বলেছেনঃ   
كان النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يتعامل مع اليهود بالبيع و الشراء ، ويقبل منهم الهدية مع أنهم يتعاملون بالربا .
ومع ذلك قَبِل النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هديّتهم . قَبِل هدية المرأة التي أهدت الشاة بخيبر 
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইহুদিদের থেকে ক্রয় বিক্রয় করতেন,তাদের থেকে হাদীয়া গ্রহন করতেন।
তাদের সুদী কার্যক্রমে জড়িত হওয়া সত্ত্বেও। 
তাদের হারাম মুয়ামালায় অন্তর্ভুক্তি থাকা সত্ত্বেও তাদের থেকে হাদীয়া গ্রহন করেছেন।
খয়বারে রাসুলুল্লাহ সাঃ এক মহিলার বকরি হাদীয়া হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।        


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইহুদিদের সুদী কার্যক্রমে জড়িত হওয়া সত্ত্বেও তাদের সাথে ক্রয় বিক্রয় করতেন,তাদের থেকে হাদীয়া গ্রহন করতেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

فَبِظُلۡمٍ مِّنَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا حَرَّمۡنَا عَلَیۡہِمۡ طَیِّبٰتٍ اُحِلَّتۡ لَہُمۡ وَ بِصَدِّہِمۡ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَثِیۡرًا ﴿۱۶۰﴾ۙ 
সুতরাং ভাল ভাল যা ইয়াহুদীদের জন্য হালাল ছিল আমরা তা তাদের জন্য হারাম করেছিলাম তাদের যুলুমের জন্য এবং আল্লাহর পথ থেকে অনেককে বাধা দেয়ার জন্য।
(সুরা নিসা ১৬০)

وَّ اَخۡذِہِمُ الرِّبٰوا وَ قَدۡ نُہُوۡا عَنۡہُ وَ اَکۡلِہِمۡ اَمۡوَالَ النَّاسِ بِالۡبَاطِلِ ؕ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ مِنۡہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿۱۶۱﴾ 
আর তাদের সূদ গ্রহণের কারণে, অথচ তা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল; এবং অন্যায়ভাবে মানুষের ধন-সম্পদ গ্রাস করার কারণে। আর আমরা তাদের মধ্য হতে কাফিরদের জন্য কষ্টদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করেছি।
(সুরা নিসা ১৬১)

★সুতরাং এ থেকে প্রতিয়মান হয় যে হারাম টাকা দিয়ে ঋন শোধ করা হলে সেই টাকা তার গ্রহন জায়েজ হবে।
এতে ঋন শোধ হবে,তবে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সেই পরিমান  
টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

তার থেকে ১০০০ টাকা নিয়ে আবার হালাল টাকায় শোধ করার পদ্ধতি শরীয়ত বহির্ভূত। 

(সেই টাকা নেওয়ার সময় চুরির গুনাহ হবে।
আবার ফিরিয়ে দেওয়ার সময় চুরির গুনাহ মাফ হবে।)  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
গরিব মিসকিনের মাঝে দান না করে আমি যদি বিনা সাওয়াবের আশায় দাতব্য প্রতিষ্ঠান যারা গরিব মানুষকে আহার করায়,সাহায্য করে এমন প্রতিষ্ঠানে দান করি যেমনঃএক টাকায় আহার ফাউন্ডেশন,আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন,আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম,তাহলে কি দান হয়ে যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...