আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
400 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
মেয়েটার বয়স ১৪বছর অই সময় সে কারো প্ররোচনায় পড়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং নিজেরা বিয়ে করে নেয়।।  সাক্ষী ছিলো হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানো হয় তারপর কাগজে সাইন নেয়াও হয়েছিলো।
কিন্তু তাদের কারো পরিবার এইটা জানতো না। এর কয়েক মাস পরে তাদের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এইটা ২০১৪ সালের ঘটনা এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ হয় নাই। ছেলে আলদা জায়গায় বিয়ে করতে যাচছে আর মেয়ের ও অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়েছে।।  ( তাদের মধ্যে কোনো শারিরীক সম্পর্ক হয় নাই)
প্রশ্ন হচ্ছে তাদের অই বিয়েটা কি হয়ে গিয়েছিল??  তাদের কি এখন তালাক দেয়া প্রয়োজন?  মেয়ে যদি নিজের থেকে তালাক দিতে চায় অই ছেলের সাথে কোনো যোগাযোগ ছাড়া তাহলে কীভাবে দিবে?? অই ছেলের সাথে পুনরায় কথা বলা অসম্ভব।  এই বিয়ের কথা এখনো কেউ জানে না শুধু অই সাক্ষীরা ব্যতিত৷  কিন্তু তাদের কারো সাথেই যোগাযোগ নেই।  এই মূহুর্তে মেয়ের অন্য কোথাও পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলে বিয়ে জায়েজ হবে??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যদি মেয়ে ও ছেলে যেই সময়ে বিবাহ করেছিলো,সেই সময়ে যদি উভয়েই বালেগ,বালেগাহ হয়ে থাকে,আর উপরোক্ত শর্ত সমূহ মেনে তারা বিবাহ করে থাকে,তাহলে সেই বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে সেই স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক ব্যাতিত এই মুহুর্তে সেই মহিলার অন্যত্রে বিবাহ বসা জায়েজ হবেনা।
সে এখনো সে ছেলের স্ত্রী।
,
হ্যাঁ যদি সেই ছেলে বিবাহ হয়ে যাওয়ার পর কোনো সময়ে সেই স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দিয়ে থাকে,বা নিকাহনামায় ১৮ নং ধারায় হ্যাঁ লিখে থাকে,তাহলে স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে যাবে।
সেই ক্ষমতাবলে সেই স্ত্রী নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে অন্যত্রে বিবাহ বসতে হবে।
,
আর যদি সেই বিবাহে উপরোক্ত শর্ত সমূহ থেকে কোনো একটি শর্ত মানা না হয়ে থাকে,অথবা সেই সময়ে যদি সেই মেয়ে বালেগাহ না হয়ে থাকে,তাহলে উক্ত বিবাহই সহীহ হয়নি।
তাই তালাকের কোনো প্রশ্নই উঠেনা।
,
এই মূহুর্তে মেয়ের অন্য কোথাও পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলে বিয়ে জায়েজ হবে

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...