بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব ,
১.বেদআত, শির্ক ও ঈমান সম্পর্কে জানতে অনেক বই পুস্তক রয়েছে তন্মধ্যে নিম্নে কয়েকটি
তুলে ধরা হলো, ১.ইসলামী আক্বীদা ও বিশ্বাস ( মুফতী তাকী উসমানী
দা:বা: )
২.ইসলামী আক্বীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ(মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন দা:বা:)
৩.ঈমান সবার আগে ( মাওলানা আব্দল মালেক সাহেব দা:বা: )
৪.সুন্নাত ও বেদআত ( মুফতী মিজানুর রহমান দা: বা: )
২.উক্ত বইয়ের কিছু কিছু অংশ নিয়ে কতপয় উলামায়ে কেরাম দ্বিমত
পোষন করলেও অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম তা সার্টিফাই করেছেন। বিধায় তা পড়া যাবে তবে স্থানীয়
কোন নির্ভরযোগ্য আলেমের স্বরণাপন্য হয়ে এজাতীয় বই অধ্যায়ন করলে অধিক ফায়দা হবে বলে
আশা করি।
৩. ছয়টি কারণে গীবত করা জায়েজ আছে। যথা-
১- জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
২- খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে
গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।
৩- বিষয়টি সম্পর্কে শরয়ী সমাধান জানতে গীবত করে মূল বিষয় উপস্থাপন
করা জায়েজ আছে। যেমন বলা যে, আমাকে অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে, তাই আমারও
কি তাকে আঘাত করা জায়েজ আছে? ইত্যাদি
৪- সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী ধোঁকা ও খারাবী থেকে
বাঁচাতে গীবত করা জায়েজ। যেমন সাক্ষ্য সম্পর্কে, হাদীস, আসার ও ইতিহাস বর্ণনাকারী সম্পর্কে,
লেখক, বক্তা ইত্যাদি সম্পর্কে দোষ জনসম্মুখে বলে
দেয়া, যেন তার ধোঁকা ও মিথ্যাচার থেকে মানুষ বাঁচতে পারে। উদাহরণতঃ
মতিউর রহমান মাদানী, তাউসীফুর রহমান এমন ভ্রান্ত মানসিকতা ও মিথ্যাচারকারী
ব্যক্তিদের দোষ মানুষের কাছে বলা সাধারণ মুসলমানদের ঈমান আমল হিফাযতের জন্য জায়েজ।
৫- প্রাকাশ্যে যদি কেউ শরীয়তগর্হিত করে, তাহলে তার খারাবী বর্ণনা করা এমন ব্যক্তির কাছে
যারা এর দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে পারে। যেমন কেউ প্রকাশ্যে মদ খায়,
তাহলে মানুষের সামনে তার সরাসরি বদনাম করা জায়েজ আছে। যেন এমন খারাপ
কাজ করতে ভবিষ্যতে কেউ সাহস না করে।
৬- কারো পরিচয় প্রকাশ করতে। যেমন কেউ কানা। তার পরিচয় দেয়া দরকার।
কিন্তু নাম কেউ চিনতেছে না। কিন্তু কানা বলতেই সবাই চিনে ফেলে। তখন কানা বলা বাহ্যিক
দৃষ্টিতে গীবত হলেও এটা বলা জায়েজ আছে। এতে গীবতের গোনাহ হবে না। {তাফসীরে রুহুল মাআনী- ১৪/২৪২, সূরা হুজরাত-১২}
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/5384/?show=5384#q5384
গীবত সম্পর্কেও অনেক বই লিপিবদ্ধ রয়েছে । তন্মধ্যে আপনি এই দুটি বই সংগ্রহ করতে
পারেন, ১.গীবত ও পরনিন্দা ( মুফতী তাকী উসমানী দা:বা: ) ২.গীবত
বা পরনিন্দা ( আব্দল হাই লখনবী র:)