আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
১ পবিত্র কুরআন কি চুমু খাওয়া জায়েজ?
এমন কি কোন সহীহ হাদীস আছে যাতে বুঝা যা যে এটা জায়েজ?
শুনলাম উমর রা এমনটা করতেন, এটা আহলে হ্বক মিডিয়াতে ছিল, আপনাদের মতামত কি?
২ দান সাদকা করলে কি বালা মুসিবত দূর হয়?
এমন কোন গ্রহণ যোগ্য হাদীস আছে কি?
আর আমি কেমন নিয়তে দান সাদকা করতে পারি? এবং এটা কি রাস্তার ফকির দের দিলে ও হবে কিনা?
৩ আমি কিভাবে কবর যিয়ারত করতে পারি?
আমাকে একটু দয়া করে আল্লাহরওয়াস্তে সহীহ শুদ্ধ নিয়ম টা লিখে দিন,,,,,,,,,,,,,, বিঃদ্রঃ আমি একজন কিশোর।
৪ নবিজীর বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী ক্বলব বলতে যে গোস্তের টুকরা বলা আছে,আসলে এটা কোনটা?
মানে এটা কি আমাদের হৃদপিণ্ড নাকি বুকের ভেতরের কোন গোস্তের টুকরা?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
পবিত্র কুরআন চুমু খাওয়া জায়েজ আছে।
তবে এটি আবশ্যকীয় কোনো বিধান নয়। 

কেউ সুন্নত বা শরীয়তের বিধান মনে করে এমনিতে সম্মানার্থে কুরআনে কারীম চুম্বন করে, তাহলে কোন সমস্যা নেই।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهْلٍ كَانَ يَضَعُ الْمُصْحَفَ عَلَى وَجْهِهِ وَيَقُولُ كِتَابُ رَبِّي كِتَابُ رَبِّي 

ইবনু আবী মুলাইকা (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইকরিমাহ ইবনু আবূ জাহল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কুরআনকে তার মুখমণ্ডলের উপর রেখে বলতেন, ‘আমার রবের কিতাব, আমার রবের কিতাব।’
সুনানে দারেমী ৩৩৮৯.হাকিম, ৩/২৪৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২২২৯; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩৭১ নং ১০১৮।


فى رد المحتار-رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ الْمُصْحَفَ كُلَّ غَدَاةٍ وَيُقَبِّلُهُ وَيَقُولُ : عَهْدُ رَبِّي وَمَنْشُورُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ وَكَانَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُقَبِّلُ الْمُصْحَفَ وَيَمْسَحُهُ عَلَى وَجْهِهِ (رد المحتار–كِتَابُ الْحَظْرِ وَالْإِبَاحَةِ، بَابُ الِاسْتِبْرَاءِ وَغَيْرِهِ
হযরত ওমর রাঃ এ ব্যাপারে বর্ণিত। তিনি কুরআনে কারীম প্রতিদিন সকালে নিয়ে চুমু খেতেন। আর বলতেন-এটা আমার রবের নির্দেশনা, এবং আল্লাহর প্রেরিত। এমনিভাবে হযরত উসমান রাঃ ও কুরআনে কারীমকে চুমু খেতেন এবং চোখে বুলাতেন। 
{রাদ্দুল মুহতার-৫/২৪৬, তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৫৯}

★হাদীস গুলি সহীহ নয়।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অধিক হারে সদকা করো। কেননা বালা-মুসিবত সদকাকে অতিক্রম করতে পারে না।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৮০৮৩)

★সুতরাং আপনি উক্ত নিয়তে দান করতে পারেন।
এটা রাস্তার ফকিরদের দিলেও হবে।

(০৩)
কবর যিয়ারতের পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ 

(০৪)
যাকে ‘কলব’ বলা হয়েছে তা শরীরের কোথায় অবস্থিত? এ সম্পর্কে তিনটি ধারণা প্রচলিত আছে- ক. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো রুহ (আত্মা, প্রাণ বা জীবন), কিন্তু এটা সঠিক হতে পারে না। কারণ রুহের কোনো নির্ধারিত আকার নেই এবং শরীরের মধ্যে তার কোন সুনির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থানও নেই। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা যদি আপনাকে রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন, রুহ আমার রবের নির্দেশ হতে; আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।’ (সূরা বনি ইসরাঈল : ৮৫)। 

খ. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো নাফছ (রিপুগুলো), কিন্তু এটাও সঠিক হতে পারে না। কেননা নাফছেরও কোনো নির্ধারিত আকার নেই এবং শরীরের মধ্যে তার কোনো সুনির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থানও নেই।

গ. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো আকল (জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি), এটা অনেকটা কাছাকাছি। কিন্তু আমরা জানি জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি স্পর্শযোগ্য বস্তু নয়, আকলেরও কোনো নির্ধারিত আকার নেই, যদিও শরীরের মধ্যে তার নির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থান রয়েছে এবং হাদিস শরিফে কলবকে মুদগাহ অর্থাৎ স্পর্শযোগ্য বস্তু বলা হয়েছে, সুতরাং মস্তিষ্ক বা মগজ যেখানে জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি থাকে তাকেই কলব বলা শ্রেয়তর হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...