আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম।

এক নারী স্বামীকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে, এমনিতে স্বামীর অন্যান্য হক আদায়ে সচেষ্ট। কিন্তু স্বামীর বিভিন্ন গুণাহের জন্য অথবা টুকটাক দাম্পত্য সমস্যার জন্য প্রায়ই অভিমান করে। দেখা যায় এক পর্যায়ে স্বামীকে কটু কথা বলে, অথচ সে পরবর্তীতে আফসোস করে,সে বুঝে কথা টা বলা উচিত হচ্ছে না তবুও বলে ফেলে। অবশ্য পরে সাথে সাথে মাফ চায়,স্বামী ও বললে বলে,মাফ করে দিয়েছি। কিন্তু আবারও এমন হয়। এখন স্বামী বলে যে তিনি রাগ রাখেন না স্ত্রীর প্রতি, কিন্তু স্ত্রী মনে মনে শান্তি পায়না। তিনি সারাক্ষণ নিজেকে গুণাহগার ভাবেন, ভাবেন যদি আল্লাহ ক্ষমা না করেন,স্বামী যদি অন্তরে রাগ পুষে রাখেন ইত্যাদি ভাবনায় অস্থির হয়ে থাকেন। এমতাবস্থায় স্ত্রীর করণীয় কি? স্বামি যে মুখে বলছেন মাফ করেছেন কিন্তু যদি রাগ পুষে রাখেন তাহলে কি স্ত্রী মাফ পাবে?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

স্বামী-স্ত্রী একজন আরেক জনের পোষাক সরূপ। তাই তারা একে অপরে পোষাকের মত মিলে মিশে থাকবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন -

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ আল্লাহ অবগত রয়েছেন যেতোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলেসুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেনতা আহরন কর। (সুরা বাকারাআয়াত ১৮৭)

 

হাদীসটি তিরমিযী শরীফে এসেছে -

عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

তালক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামী যদি মনোবাসনা পূরণের জন্য তার স্ত্রীকে ডাকে তবে সে যদি চুলার কাছেও থাকে তবুও যেন অবশ্যই সাড়া দেয়। ’ ইমাম আবূ ইসা(রহঃ) বলেনএই হাদীসটি হাসান-গারীব। - মিশকাত ৩২৫৭সহিহাহ ১২০২তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

 

সহীহ ইবনে হিব্বানে এসেছে-

عَنْ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتجبه وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ " .

তালক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘স্বামী যদি মনোবাসনা পূরণের জন্য তার স্ত্রীকে ডাকে তবে সে যদি চুলার কাছেও থাকে তবুও যেন অবশ্যই সাড়া দেয়। ’ (সহীহ ইবনে হিব্বান৪১৬৫) 

হাদীসটি আরো কিতাবে রয়েছে- মুসনাদে আহমদ, ১৬৩৩১আল- মুহাল্লা১০/৪১আস সুনানুল কুবরা৮৯৭১আত তারগীব ওয়াত তারহীব, ৩/১০৩


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

স্ত্রীর জন্য স্বামীকে ছোট খাটো বিষয়ের কারণে অযথা ঠিক হবে না। তবে যদি কখনো কষ্ট দিয়ে ফেলে তাহলে স্বামীর কাছে মাফ চেয়ে নিবে। আর যদি স্বামী বলে যে, আমি মাফ করে দিয়েছি তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালাও মাফ করে দিবেন। আর স্বামীর জন্যও উচিত হবে না যে, মাফ করে দিয়েছি  মুখে বলে অন্তরে রাগ পুষে রাখবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...