ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/27748 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
একজন কামিল ঈমানদারের জন্য উচিৎ নবীজী সাঃ এর শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে ক্ষমার গুণ অর্জন করা।অভিশাপ দেয়াকে চিরতরে নিজের কাছ থেকে দূর করে দেয়া।এবং কবি জসিমুদ্দিনের সেই কবিতার দিকে একটু লক্ষ্য করা যা তিনি নবীজী সাঃ এর একটি হাদীস থেকে চয়ন করে লিখেছিলেন,
আমার এ ঘর বাঙ্গিবে যে আমি বাধি তার ঘর।
যেমন রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
ﺻﻞ ﻣﻦ ﻗﻄﻌﻚ ﺃﻋﻂ ﻣﻦ ﺣﺮﻣﻚ ﺍﻋﻒ ﻋﻤﻦ ﻇﻠﻤﻚ
যে তোমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে তুমি তার সাথে সম্পর্কস্থাপন করো।যে তোমাকে মাহরুম করে তুমি তাকে দান করো।যে তোমার উপর জুলুম করে তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও।{শুআবুল ঈমান-বায়হাক্বী-7599}
অহেতুক কাউকে বদ দুআ করা জায়েয হবে না।
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
لا خلاف بين الفقهاء في أن الدعاء على المسلم المصون باللعن حرام. أما المسلم الفاسق المعين فقد اختلفت فيه أقوال الفقهاء: فالمذهب عند الحنفية والشافعية وهو المذهب عند الحنابلة وهو قول ابن العربي من المالكية، أنه لا يجوز لعنه
নিরপরাধ কোনো মুসলমানকে অহেতুক বদদুআ করা হারাম।এবং গুনাহগার নির্দিষ্ট কোনো মুসলমানকে লা'নত করাও চার মাযহাব মতে হারাম।{৩৫/৩৭৩}
{ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৪/২৫২}
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার জন্য উচিৎ ছিল ক্ষমা করে দেয়া।তবে যেহেতু আপনি বদ দু'আ করেই নিয়েছেন, তাই এখন আপনি তার উপর থেকে বদ দু'আ উঠে যাওয়ার দু'আ করুন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।