আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (72 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,
শায়েখ,
একজন ব্যক্তি গোনাহগার। কিন্তু সে তওবা করে না। কেননা একই গুনাহ বারবার করে ফেলে। কিন্তু সে মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে সে অতি দ্রুত মাফ না চেয়ে ভুল করছে। প্রশ্ন হলো,

১) সে ব্যক্তি যদি কোন দুনিয়াবি কাজ যেমনঃ ব্যবসা করা, চাকুরি করা, দুনিয়াবি শিক্ষা অর্জন করা ইত্যাদি খুব মনোযোগ দিয়ে করে তাহলে কি তার এ কাজ দিয়ে এটা প্রমাণ হয় যে সে, তওবা করার চেয়ে বেশি অই কাজ টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে? যদিও তার মনে আছে যে সে অনেক গোনাহ করে কিন্তু মাফ চায় না এবং সে সেটা ভুল করছে।

২) অই ব্যক্তি যখন কোন দুনিয়াবি কাজ করছে, তখন ও সে চাইলে তওবা করতে পারত কিন্তু সে করে নাই। তার মানে কি সে দুনিয়ার কাজ কে তওবার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে? যদিও সে মনে মনে মানে যে সে অতি দ্রুত তওবা না করে ভুল করছে এবং একই সাথে সে যে দুনিয়াবি কাজ করছে তা সে নিয়ত সঠিক রেখে করছে।

উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সাথে সাথে বলবেন যে, এতে তার ঈমানের সমস্যা হচ্ছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5806 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।তাওবাহ করার মনস্থ করার পর তাওবাহকে বিলম্ব করা জায়েয হবে না।সুতরাং যে ব্যক্তি তাওবাহকে দেড়ীতে করার মনস্থ করবে,সে দু'টি গোনাহে লিপ্ত হবে।একটি হল,দীর্ঘ সময় যাবৎ একটি গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকা।দ্বিতীয়টি হল,দেড়ীতে তাওবাহ করার মনস্থ করা।
ইয ইবনে আব্দুস-সালাম বলেন,
" والتوبة واجبة على الفور ، فمن أخرها زماناً صار عاصياً بتأخيرها ، وكذلك يتكرر عصيانه بتكرر الأزمنة المتسعة لها ، فيحتاج إلى توبة من تأخيرها "
গোনাহে লিপ্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করলে সে গোনাহগার হবে।এবং যত দীর্ঘ সময় হবে,তার গোনাহও তত দীর্ঘ হবে।দেড়ী তাওবাহ করলে সাথে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে,দেড়ীতে তাওবাহ করার জন্য।(কাওয়াঈদুল আহকাম-১/২২১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5806

তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হল,
অতীতের গোনাহের উপর লজ্জিত হওয়া, এবং বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা ও ভবিষ্যতে উক্ত কাজ না করার দূর সংকল্প করা।  এবং এর নামই হল তাওবাহ। তাওবাহ কবুল হয়েছে কি না? এটা বুঝতে হবে, তাওবাহ করার পর যদি উক্ত কাজ আর কেউ না করে , তাহলে বুঝতে হবে, তার তাওবাহ কবুল হয়েছে। আর যদি তাওবাহ করার পরও সে উক্ত কাজ করে থাকে, তাহলে তার তাওবাহ কবুল হয়নি বলে ধরে নিতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন"

(১)
সাথে সাথেই তাওবাহ না চেয়ে সে ভুল করছে।

(২)
তার উচিৎ ছিল, দুনিয়ার সব কাজ কামকে পিছনে ফেলে সাথে সাথেই তাওবাহ।তবে সে তা করেনি।

তাওবাতে দেরী হওয়ার জন্য ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
প্রশ্ন ছিল, সে যে দুনিয়াবি কাজ গুলো করছে, এর দারা কি এটা প্রমান হয় যে তওবার চেয়ে সে দুনিয়ার কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছে?
মন থেকে সে তওবাকে গুরুত্ব দিলেও সেটা আগে করছে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...