আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
আজ বাজার থেকে একটি চেয়ার কিনে আনলাম। কিনার সময় খেয়াল করি নাই।

বাড়িতে আনার পর। আমি ওই চেয়ারে বসলাম। তখন ও খেয়াল করি নাই।

কিন্তু রাতে খেয়াল করলাম যে,, ওই চেয়ারের পিছনের দিক দিয়ে লিখা যে,

লিখাটি হচ্ছে "MUHAMMAD.Plastic"

আমাদের নাবী (সাঃ) এর নাম মোবারকের   সাথে মিল রেখে ওউ কোম্পানির নাম।

(লিখা কিভাবে লিখা এবং বসলে কিভাবে পড়ে যায় একটূ নিচে ব্যাখ্যা দিচ্ছি)--

ওই চেয়ারের যখন বসবো, তখন---


ওই চেয়ারের পিছনের দিকে ----


কিন্তু  কোমরের নিচের দিকে


পাছার নিচেও না, তবে পাছার উপরের দিক দিয়ে কাছাকাছি ভাবে ওই পবিত্র লিখা শারীফ  পড়ে যায়।

এখন এই পবিত্র নাম --
আমি যখন চেয়ারে বসবো তখন আমার কোমরের নিচে এবং পাছার কাছাকাছি ভাবে পড়ে যায়।

প্রশ্ন ১): তাহলে কি উক্ত চেয়ারে আমার বসা জায়েজ হবে কি?

বি:দ্র:
স্টিকার থাকলে ছিড়ে ফেলতাম ইনশাআল্লহ্। কিন্তু তা একদম প্লাস্টিক দিয়ে গাঢ়-ভাবে লিখা। যা ব্লেড দিয়ে কাটা ব্যতীত তুলা অসম্ভব।
(লিখা চেয়ারের পিছন দিকে, কোমরের নিচে,পাছার নিচে না,,কিন্তু প্রায় কাছাকাছি)

প্রশ্ন ২): আমি কি ব্লেড দিয়ে ওই নাম শারীফ তুলে ফেলবো?

প্রশ্ন ৩): যদি আমি ব্লেড দিয়ে না, তুলি তাহলে ওইভাবেই বসা জায়েজ হবে ক

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত চেয়ারের পিছনের দিকে, বসার সময় কোমরের নিচে পড়ে,তবে নিতম্বের উপরে,এমন স্থানে মুহাম্মাদ প্লাস্টিক লেখা রয়েছে।
শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে উক্ত চেয়ারে বসায় কোনো গুনাহ হবেনা।
এটি অন্যান্য নামের ন্যায় শুধু একজন ব্যাক্তির নাম ধরে নিবেন।  
,
তবে আপনার মনে যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামের অবমাননা ইত্যাদি আসে,তাহলে তাহলে আপনি সেই নাম ব্লেড দিয়ে তুলতে পারেন।
     
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 193 views
...