আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)
edited by

১।আমার প্যান্টে মযি লাগায় আমি তা পানি দিয়ে ধুই।ধোয়ার কিছুক্ষন পরে প্যান্টে যে জায়গায় মযি লেগে ছিল তাতে হালকা চিহ্ন দেখতে পাই। প্রথমে মনে করেছি ওইটা কিছু না।তাই ঐ প্যান্ট পরে গোসল করি।তারপর গামছা দিয়ে শরীর মুছি।গামছা পরে ঐ প্যান্ট খুলে বালতিতে আবার কিছু পানি নিয়ে তা খোলান দিয়ে পানি চিপড়িয়ে ফেলে দেই।পরে প্যান্ট শুকা দেই।  

 

কিন্তু পরে বারবার মনে হতে থাকে মযি মনে হয় ভালভাবে ধুয়া হয় নাই।তাই ঐ প্যান্ট পরেরদিন আবার ভালভাবে পাক করি।

 

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি যে গোসল শেষে ভেজা শরীর গামছা দিয়ে মুছেছি।তারপর গামছা পড়েছি।তারপর ভিজা পায়ে ঘরের পাপোসগুলোর উপর দিয়ে হেটেছি।এগুলো সব কি আমার ধুতে হবে?নাকি শুধু যে প্যান্ট ধুয়েছি তাতেই যথেষ্ট।আর আমার পরে ঐ বালতিতে পানি ভরে অনেকে গোসল করেছে,তাই পরেরবার প্যান্ট ধোয়ার সময় আলাদাভাবে আর বালতি ধুই নাই।   

২।আর কাপড় বাহিরের দড়িতে শুকা দেওয়া হয়।দড়ি শুকিয়ে যাবার পর তাতে আরও ভিজা পাক কাপড় শুকা দেওয়া হয়েছিল।ওগুলো কি নাপাক হবে?

islamqa.info এর ফতওয়ায় দেখেছিলাম নাপাক কাপড় যে দড়িতে রাখা হয়,তা শুকিয়ে যাবার পর ভেজা পাক কাপড় তাতে শুকা দিলে কোন সমস্যা নেই।কারণ নাপাক কাপড় থেকে যদি দড়িতে হালকা নাপাকি লাগে তা বাহিরে রোদে,বাতাসে শুকিয়ে যাবে।এটা নিয়ে চরমপন্থা অবলম্বনের দরকার নেই।

এই ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি। এগুলা নিয়ে খুব ওসওয়াসার মধ্যে আছি।খালি এগুলোর চিন্তা মাথায় আসে।  

   

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনার প্যান্ট পবিত্র।সুতরাং আপনি কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না।

(২)
জ্বী, islamqa এর এই বক্তব্য সঠিক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...