আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
অসুস্থতা বা সেহরি না খেতে পারলে তো রোজা রাখা কষ্টকর৷ রাখতে দেয় না রোজা। সেক্ষেত্রে যদি রোজা না রাখতে পারি তাহলে কি পরের শুক্রবার থেকে হিসাব করবো৷ বছরে ৪৭/৪৮ টা শুক্রবার আছে৷ আমি বলতে চাচ্ছি এটা ২য় বছরে গিয়েও যদি আমি সবগুলো রোজা শেষ করি এতে কোনো সমস্যা হবে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামে মানত করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে,

হাদীস শরীফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন-

أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ

রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মান্নত এমন কোনো কিছুকে আদম সন্তানের নিকটবর্তী করে দিতে পারে না যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য তাকদীরে নির্দিষ্ট করেননি। তবে মান্নত কখনো তাকদীরের সাথে মিলে যায়। এর মাধ্যমে কৃপণের নিকট হতে ঐ সম্পদ বের করে নিয়ে আসা হয় যা কৃপণ (এমনিতে) বের করতে চায় না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৬৪০

মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি; মান্নতের প্রতি নয়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-

 بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ

তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।

মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।

وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]

তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন১!

যদি কেউ নির্দিষ্ট কোন দিনে রোজা রাখার মানত করে এবং ঐ নির্দিষ্ট দিনই তার রোজা রাখা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। তাহলে মানত পুরা করার জন্য সে দিনই রোজা রাখতে হবে। যদি না সে দিন রোজা রাখার ব্যপারে শরীয়তের কোন নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে। যেমন দুই ঈদের দিন ও আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন। এ পাঁচ দিনের কোন একদিনে রোজা রাখার মনত করলেও রোজা রাখা যাবে না। বরং পরবর্তিতে যে কোন সময় তার কাযা আদায় করে নিতে হবে।

কারণ ওয়াজিব রোজা দু’প্রকার-

১। নির্দিষ্ট মানতের রোজা যেমনঃ- কেউ মানত করল আমি অমুক দিন রোজা রাখার মানত করলাম। এ মানত রোজা নির্দিষ্ট দিনে আদায় করা ওয়াজিব।

২। অনির্দিষ্ট মানতের রোজা। কেউ মানত করলো, আমি এ রোগ থেকে মুক্তি পেলে একটি রোজা রাখব।এ রোজা যে কোনদিনে রাখলে তা আদায় হয়ে যাবে।  

সারা বছর জুমার দিন রোজা রাখার মানত করা আপনার জন্য উচিত হয়নি কিন্তু আপনি যেহেতু মানত করেছেন বিধায় তা পূর্ণ করতে হবে। সুতরাং কোন কারণে আপনি যদি জুমার দিন রোজা রাখতে না পারেন তাহলে অন্য যেকোন দিন উক্ত রোজার ক্বাযা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...