আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, আমার আম্মুরা মোট ৬ ভাই বোন,৩ভাই ও ৩ বোন,,নানার অনেক সম্পদ ছিল আলহামদুলিল্লাহ,,, মারা গেছে ভাগ করে যায়নি,,,মামারা তাদের সম্পদ প্রায় সব বিক্রি করে ফেলেছে যার যার মন মত,মেঝো মামা শুধু ১ বোনের জমি লিখে নিছে বদলে ৫ লাখ টাকা দিয়েছে, মেঝো খালাও সম্পদ তাকে লিখে দিয়েছে তার অংশ,,, বড় মামা সব সম্পদ ওনার এক মেয়ের নামে দিয়ে রাখছে,,এখন বড় মামা স্টোক করে পরে আছে, কথা বলতে পারে না এখন,শুধু প্রান আছে বলতে গেলে, ২ বোন কে কেউ কিছু দেয়নি,, ২ বোনের জমি লিখে নেওয়ার ইচ্ছা ও নাই,,কিন্তু ছোট মামাকে বাকি ২ মামা নাকি বঞ্চিত করেছে কম দিয়েছে,, এখন তার সংসার চালানো কষ্ট,বাকি ২ মামা তাও মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে, বোনরাও আলহামদুলিল্লাহ আছে,,মামারা ফুফুদের সম্পদ ও ভাগ করে দেয়নি, অনেক ভেজাল লাগছে,, সবাই একসাথে পরামর্শে বসলে মারামারি লাগে,,তাই আমার আব্বু রাগে কেস করে,,আব্বুর কথা যার পাওনা তাকে লিখে দিত,আব্বুর কথা এত সম্পদ কেন বিক্রি করছে,,সবাই শুধু লস করছে ব্যবসায় আর জমি বিক্রি করে ফেলছে,,,আব্বু অনেক বেশিই রাগি,,আর অনেক জেদ,,,সবাই বসে আছে আব্বু ই একা কেস করতে গেছে, বড় ২ জন ই স্টোক করা,, বড় মামা তো কথাও বলতে পারেনা আার কিছু বুঝেও না এখন,,আর মেঝ জন ও অনেক অসুস্থ,, ৭ বছর কেস চলছে,,, সব প্রায় বিক্রি করেই দিছে এখন তাদের ই ভালো চলেনা,,, কোনমতে চলে,,, এর মধ্য অসুস্থ,,, এই কেস এর লাভ কি,,,আম্মু অনেক কস্ট পায়,ভাইদের বিরুদ্ধে কেস করে খারাপ লাগে,,, আব্বু বলছে আম্মুকে তার বউ না যদি জমি লিখে দেয়,,, এর কোন ভবিষ্যৎ দেখতেছিনা,,,মেঝ মামার কথা ৩ ভাইয়ের ৩ বোন,,,সে ১ জনকে দিয়ে দিছে,,,বড় মামা তো এখন কথা বলতে পারে না, আর ছোট মামার অনেক কস্টে চলে দিন,,আর যে জমি বিক্রি করে ফেলছে ওই  জমি গুলা তে তো বোন আর ফুফুরাও ভাগ পায়,,,ফুফুরা মৌখিকভাবে মামাদেরই দিয়েছিল (৩জন)আর বাকি ৩ জন নানাকে লিখে দিছিল,,, মানে ওই জমিগুলারও সঠিক বিক্রি প্রক্রিয়া হয় নাই,,,এখন কেস করলে তো জেল খাটতে হইতে পারে,,, তার চেয়ে সব আত্মীয় এক হয়ে মাফ করে দিলে ভালো হয় না?? কাকে কি বুঝানো উচিত বুঝতে পারছি না,,, মামারা বিক্রি করার সময় বোনদের তেমন গুরুত্ব দেয়নি,,,,,,এখন আব্বুর মাথা কেমনে ঠান্ডা করাই? কেস কেমনে থামাই৷৷ কি করনীয় ওস্তাদ,,,কিভাবে কি কাকে বুঝাবো বুঝতে পারছি না

1 Answer

0 votes
by (582,090 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
হযরত আবু উমামা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺪْ ﺃَﻋْﻄَﻰ ﻛُﻞَّ ﺫِﻱ ﺣَﻖٍّ ﺣَﻘَّﻪُ ، ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَﺍﺭِﺙٍ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক হক্বদারকে তার প্রাপ্য হক্ব (নির্ধারণ)করে দিয়েছেন।সুতরাং ওয়ারিছদের জন্য আর কোনো ওসিয়্যাত নেই।
অর্থাৎ-মূত্যুর পরে কাউকে কিছু দানের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ওসিয়ত হয়ে যায়,আর নিজ ওয়ারিছদের মধ্য থেকে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয নয়।তবে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য কারো জন্য এক তৃতীয়াংশ মালে ওসিয়ত করা জায়েয আছে। (সুনানে আবু-দাউদ-২৮৭০সুনানে তিরমিযি-২১২০সুনানে নাসাঈ-৪৬৪১ইবনে মাজাহ-২৭১৩)

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ - ﻋَﻦِ اﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ: «ﻻَ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَاﺭِﺙٍ، ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺸَﺎءَ اﻟْﻮَﺭَﺛَﺔُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই,তবে যদি অন্যান্য সমস্ত ওয়ারিছরা রাজি থাকে তাহলে জায়েয আছে। (মিশকাত-৩০৭৪)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার নানার অংশ থেকে তো আপনার বাবা কিছুই পাবেন না।হ্যা, আপনার মা পাবেন।সুতরাং আপনার বাবার জন্য কেইস লড়া কখনো জায়েয হবে না,উচিৎ হবে না।

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনার মায়ের উচিৎ নিজের হিস্যাকে ভাই/বোনদের জন্য ছেড়ে দেওয়া।হ্যা, উনি নিজের হিস্যা নিতে পারবেন।প্রয়োজনে কেইস করেও, তবে উত্তম হল, ছেড়ে দেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...