বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/222 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়ার প্রমাণ হলো,হাদীসে বর্ণিত রয়েছে
عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك
অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে।{সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী প্রথমে যে তার স্ত্রীকে রাগের বসে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক বায়েন বলেছিলেন, এদ্বারাই তিন তালাক পতিত হয়ে গেছে। উক্ত ঘটনার ৮ বৎসর পর তালাক পতিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।কেননা প্রথমবার তিন তালাক দেওয়ার পর উক্ত স্ত্রী তালাক প্রাপ্ত হয়ে গেছেন।পরবর্তীতে আর তালাক পতিত হবে না।কেননা তখনতো তাদের মধ্যকার আর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নেই।
প্রথমবার তালাক দেওয়ার পর তাদের সংসার বৈধ হয়নি।হারাম হয়েছে।
উক্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।এখন পূনরায় সংসার বাধার আর সাধারণ কোনো নিয়ম বা রাস্তা নেই।
তবে যদি ঘটনাক্রমে তালাকপ্রাপ্ত ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়।এবং সে স্বামীর সাথে সংসার করার পর বা কমপক্ষে প্রথম সহবাস হওয়ার পর সংসার ভেঙ্গে যায়।তাহলে উক্ত স্ত্রী পূনরায় আবার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।