আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
reopened by
আমি একটি হাস্পাতেলের/ক্লিনিকের কাজ করে দিচ্ছি, যেখানে রোগীরা টেস্টের মূল্য জানতে চায় এবং তাদের কে মূল্য জানাতে হয়,এবং রোগীর থেকে টাকা নিতে হয় ।  এখন কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে , এই মূল্যের কিছু অংশ্য রোগী বহন করে এবং কিছু অংশ বীমা প্রতিষ্ঠান বহন করে।
পুরা কাজটা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে হয়,সফটওয়্যার শুধু রোগীর থেকে টাকা নেওয়ার জন্য । যদি রোগীর বীমা থাকে,সেই  বীমার টাকা হাসপাতাল গ্রহণ করে , কিন্তু সফটওয়্যার  এর মাধ্যমের  রোগীকে জানাতে হয় যে তারা বীমা কোম্পানির কাছে টাকা দাবি করতে পারবে ।

এই সফটওয়্যার বানানো কি জায়েজ?
আমি এই কাছাকাছি কেস  সংক্রান্ত একটি ফতওয়া দেখেছি অনলাইনেঃ http://www.muftisays.com/qa/todays-issues/4154-hospital-handling-health-insurance-claims/

ফতওয়ার বাংলাঃ

আমরা ইনশাআল্লাহ ভারতে একটি বেসরকারি হাসপাতাল শুরু করছি। আমরা প্রায় 50% রোগীদের (মুসলিম এবং অমুসলিম) চিকিৎসা করি তাদের স্বাস্থ্য এবং অসুস্থতা কভার করার জন্য তাদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে ব্যক্তিগত নীতি বা নীতি হিসাবে একটি প্রচলিত স্বাস্থ্য বীমা কার্ড থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। Q1। আমরা কি এমন রোগীদের চিকিৎসা করতে পারি যারা আমাদের হাসপাতালে এই ধরনের প্রচলিত স্বাস্থ্য বীমা কার্ড দিয়ে থাকে। বীমা কোম্পানি যারা আমাদের অর্থ প্রদান করে। তাদের রোগীদের নগদবিহীন এবং পরে বর্তমান দাবির চিকিৎসা করার জন্য আমাদের বীমা কোম্পানিগুলির সাথে একটি চুক্তি করতে হবে। অর্থপ্রদানের জন্য আমাদের দাবি প্রক্রিয়া করার জন্য তাদের প্রশাসনিক সফ্টওয়্যার, হার্ডওয়্যার ইত্যাদি ইনস্টল করতে হবে। বাজারে অন্ততপক্ষে 15টি কোম্পানি আছে--(সবগুলোই প্রচলিত এবং কোনোটিই ইসলামিক তাকাফুল নীতির চর্চা করে না) এবং আমাদের তাদের বেশিরভাগের সাথে চুক্তি করা উচিত কারণ আমরা জানি না কোন রোগী আমাদের দরজায় আসবে। এই ধরনের রোগীদের গ্রহণ করুন এবং তাদের রোগীদের চিকিত্সা করার জন্য প্রচলিত বীমা কোম্পানিগুলির সাথে চুক্তিতে প্রবেশ করুন৷

উত্তর:
আপনার আসল ক্লায়েন্ট আপনার রোগী, কোম্পানি তাদের পক্ষ থেকে আপনাকে অর্থ প্রদান করে। রোগী এবং কোম্পানির মধ্যে সম্পর্ক তাদের বিষয়, আপনি তাদের কর্মের জন্য দায়ী নন।

তাই কোম্পানি থেকে পেমেন্ট পেতে আপনার কোন সমস্যা নেই।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের সরাসরি গুনাহের কাজ করা হয়,এধরনের সফটওয়্যার বানানো জায়েজ নেই।
কেননা এটি গুনাহের কাজে সহযোগিতা। 
যাহা জায়েজ নেই। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত সফটওয়্যারটির মুল কাজ রোগীর টাকা নেওয়ার জন্য।
সুতরাং এ ধরনের সফটওয়্যার বানানো জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।

আপনি যে ধরনের কাজ করে উপার্জন করছেন,এ ধরনের ইনকাম করে উপার্জন জায়েজ আছে।
সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
edited by
@মুফতী ওলি উল্লাহ হুজুর, 
উত্তরের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আরেকটু সন্দেহ ছিল,সেই অংশ টুকুর উত্তর দিলে খুব উপকার হত।
আমার প্রশ্ন করার পেছনে যে সন্দেহে ছিল তা হল,
কিন্তু, যখন কোন রোগী টেস্টের মূল্য জিজ্ঞেস করে, তখন  বীমা যুক্ত  রোগীকে সফটওয়্যার  এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া  হয়,  যে তারা বীমা কোম্পানির কাছে টাকা দাবি করতে পারবে । 
এই অংশ টুকু কি হারাম কাজের তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হয়ে যায় না? 
যদি তাই হয়,তাহলে কি আমি সফটওয়্যার থেকে এই তথ্য দেওয়ার অংশ টুকু মুছে দিব?  


আবার এমনটা ভাবছিলাম যে , সংযুক্ত ফতওয়া অনুযায়ী, যদি হাসপাতাল রোগীদের বিল বীমা কোম্পানি দের থেকে নিতে পারে,তাহলে রোগীদের এই তথ্য দিলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...