আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (97 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার বোন আমাকে তার জন্যে একটি মোবাইলের কভার এবং একটি স্টিকার(pop up socket বলা হয় সাধারণত এই স্টিকারগুলোকে) এনে দিতে বলেছিলো। এনে দেওয়ার পর আমার খেয়াল হলো ফোনের কভারে একটা কার্টুনের ছবি, যেটা দেখতে অনেকটা সাদা বিড়ালের মতো। আর স্টিকারটি প্রজাপতির আকৃতির। বলতে গেলে এটা একটা প্রজাপতির আকৃতির খেলনা। (উল্লেখ্য আমার বোন কোন শিশু নয় সে কলেজছাত্রী)

(১) এই ছবি এবং খেলনা কি হারাম কাতারে পড়ে? আমি ইতিমধ্যে টাকা খরচ করে এগুলো কিনে এনেছি। শুধু এগুলো তাকে দেওয়া বাকি। দোকানদারের কাছেও ফেরত দেওয়া যাবে না। তাছাড়া আমার বোন আমার কাছে টাকা পেতো, আমি তার সাথে কথা বলে টাকার বিনিময়ে তাকে এগুলো এনে দিয়েছি। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? তাকে দিয়ে দিলে আমার গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?  (উল্লেখ্য এনে দেওয়ার পূর্বে আমার এই ছবি এবং স্টিকার/পপ আপ সকেট যে হারাম হতে পারে তা উপলব্ধি হয় নি।

(২) তাকে যদি দিয়ে দেই, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে ফেরেস্তা প্রবেশ করেনা.... তাকে এগুলো এনে দেওয়ার ফলে কি আমার নিজের ঘরেও ফেরেস্তারা প্রবেশ করবেনা?

(৩) যদি আমার গুনাহ হয়ে থাকে, সেই গুনাহ থেকে আমি কি করে বের হব? সে সার্বক্ষণিক মোবাইলে এই ছবিগুলো ব্যবহার করবে। তাকে এটা ব্যবহার করতে মানা করে লাভ নেই, কারণ সে তো টাকা পায় আমার থেকে... তাই আমাকে এটা ফেলে দিয়ে নতুন করে আবার তাকে ঋণ শোধ করতে হবে... তাই কি করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ

প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)
,
ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عنﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ
আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি,তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন প্রাণীর ছবি অঙ্কন করবে,কিয়ামত দিবসে উক্ত অঙ্কিত প্রাণীর ভিতর রূহ প্রদানের দায়িত্ব তাকে দেয়া হবে।কিন্তু কস্মিনকালেও তা তার জন্য সম্ভবপর হবে না।
{সহীহ বুখারী-৫৬১৮}
 প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই/বোন!
 ১.
যদি চোখ-মুখ বা শারীরিক অবয়ব স্পষ্ট বুঝা না যায়,  তাহলে এমন স্টিকার ব্যবহারে দোষ নেই। কেননা তা প্রাণীর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু আপনার বর্ণনানুপাতে  উক্ত ছবিগুলি স্পষ্ট প্রাণীর আকৃতিতে হওয়াই তা ব্যাবহার করা জায়েয নেই।আপনার জন্য উচিত প্রাণীর ছবি বিহীন ছবি কভার আপনার বোনকে এনে দেওয়া। দোকানদারকে ভালোভাবে বুঝিয়ে উক্ত কভার চেঞ্জ করে নিবেন এবং তা আপনার বোনকে দিলে তার প্রাপ্য টাকার সমমূল্য পরিশোধ হবে।
২.আপনার ঘরে প্রাণীর ছবি না থাকলে ফেরেশতা প্রবেশ করবে ইনশাআল্লাহ। উক্ত হাদীস শুধু যেই ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সেই ঘরে সম্পর্কে। 
৩.যে গুনাহের কাজে সাহায্য করে সেও গুনাহগার হয়। আপনি যদি তাকে উক্ত কভার পরিবর্তন করে এনে দেন তাহলে সেও গুনাহগার হবে না এবং আপনিও গুনাহের কাজে সহযোগিতাকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
 
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...