আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
216 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
হিন্দি এমন গান শোনা,  ঠোঁট মিলিয়ে গাওয়া যাতে পরে দেখা গেল ইসলামি আকিদা বিরুদ্ধ বিষয় / শিরক জড়িয়ে আছে।  যদিও শ্রোতার কোনো নিয়তই থাকে না/ ছিল না এমন ধারণা পোষণ করার।  এই শোনা কি ইমান ভংগের / শিরকের কারণ হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/1898 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক। তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে:

(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।

(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।

(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।

(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।

(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।

অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে', গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)

ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে,মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,

 

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ

যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩)

ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ

এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ

মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা অজ্ঞতায় লোকেদেরকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসাড় বাক্য বেছে নেয় এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।’ [সূরা লুকমান, আয়াত: ৬]

মিউজিক ব্যতীত  ভালো অর্থবোধক কোনো গজল সংগীত গাওয়ার ও শ্রবণের  অনুমতি রয়েছে। ইসলামি সংগিত সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/1898

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত এমন হিন্দি বা  বাংলা গান যাতে যাতে শির্ক বা কুফুর রয়েছে তা সম্পূর্ণ  নাজায়েয ও হারাম । তবে যদি কেউ না জেনে বা অসতর্কতা বশত উক্ত গান গেয়ে থাকে তাহলে তার ঈমান ভঙ্গ হবে না তবে তার উপর তওবা করা আবশ্যক । আল্লাহ তায়ালার নিকট উক্ত গুনাহ থেকে বেশী বেশী ক্ষমা চাইতে হবে ।

তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলো বাদ্য-বাজনা ছাড়া গানের কথা যদি ভালো হয়,মহিলা কন্ঠ যদি না থাকে, পাশাপাশি অশ্লীলতা মুক্ত, মিথ্যা ও শরিয়ত বিরোধি না হয় তাহলে সেই গান গাওয়া ও শোনা যাবে। তবে গান বাজনা মুক্ত হলেও তা থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার পরিচায়ক।

আরো জানুন:  https://ifatwa.info/7600/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...