আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
2,859 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
বিকাশ ও রকেট হচ্ছে এক ধরনের সুদভিত্তিক মিনি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বিকাশ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের এবং রকেট হচ্ছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সেবা। যেহেতু উভয়ের সাথে সুদভিত্তিক ব্যাংকের সরাসরি সম্পর্ক তাহলে বিকাশ ও রকেট লেনদেন কি জায়েজ? বিস্তারিত জানতে চাই।

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 
বিকাশ রকেট যদিও সুদ ভিত্তিক ব্যাংকের সাথে সরাসরি জড়িত,তারপরেও এখানে সরাসরি টাকা পাঠানোর পর টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো প্রকারের সূদের সম্ভাবনা দেখা যায়না বলে বিশেষজ্ঞদের দাবী,তাই বিকাশ রকেট এর মাধ্যমে লেনদেন করা জায়েজ। 
তবে এখানে টাকা জমিয়ে রাখা ঠিক নয়, তাতে কর্তৃপক্ষ  সুদভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেয়ে  যায়।

★বিকাশ রকেটের মাধ্যমে লেন-দেনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, এক স্থান থেকে অন্যস্থানে টাকা প্রেরণ ও  গ্রহণ। মোবাইল ব্যাংকিং-এর পরিভাষায় যাকে বলা হয় সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউট। অর্থাৎ এটিকে ডাক বিভাগের মানিঅর্ডারের সহজ বিকল্প বলা যায়। সেবাটি পেতে হলে প্রথমে কোম্পানির(প্রতিনিধি)এজেন্টদের কাছে গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে একটি একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়।(যদিও টাকা প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য নিজস্ব একাউন্ট না থাকলেও চলে। সেক্ষেত্রে এজেন্টদের মাধ্যমে তা করা যায়।) আপনার ভাই যদি এজেন্ট হন এবং ফরম পূরণের কাজ করে থাকেন তাহলে মৌলিকভাবে এতে শরীয়া পরিপন্থী কোনো কিছু এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি ।
একজন মোবাইল একাউন্টধারী তার হিসাব থেকে অন্য একাউন্টধারীর হিসাবে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পাঠাতে পারে। এটিকে বলা হচ্ছে সেন্ড মানি।  নির্ধারিত ফ্ল্যাট রেটে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এতেও শরয়ী সমস্যা নেই।
,
ক্যাশ আউট। মোবাইল ব্যাংকিং-এর বহুল ব্যবহৃত সুবিধা এটি। নিজ একাউন্ট থেকে অথবা এজেন্টের কাছে প্রেরিত টাকা উত্তোলনই মোবাইল ব্যাংকিং-এর (বিকাশ,এমক্যাশ ইত্যাদি) মাধ্যমে সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে।ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি ‘আলইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। الإجارة هي بيع منفعة معلومة بأجر معلوم ‘ইজারা হচ্ছে নির্ধারিত বিনিময়ে নির্ধারিত সেবা বিক্রয় করার নাম।(আরো দেখুন : আলআওসাত ১১/১৩১; আলমুগনী ৮/২২; আলফুরূক ৪/৩৪)  
,
এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে সেবাগ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’। আর কোম্পানি হচ্ছে সেবাদাতা বা ‘আজীর’। এজেন্ট হচ্ছে মূল সেবাদাতা বা ‘আজীরে’র ওয়াকিল বা প্রতিনিধি। ওয়াকালাহ বা Agency Contract এর ক্ষেত্রে   Agent বা প্রতিনিধি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তার Agency এর দায়িত্ব পালন করতে পারে। আর পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে তা নির্দিষ্ট হওয়া জরুরী। তা নির্দিষ্ট অংক বা কোনো অংকের নির্দিষ্ট হার – উভয়টিই হতে পারে। যেমন ১০০ টাকায় ১০ টাকা, বা ১০০ টাকার ১০% – উভয়টিই বৈধ।
সুতরাং মূল সেবাদাতা-কোম্পানির প্রতিনিধি( Agent )হিসাবে নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিক বা কমিশন নিতে পারে। এটা তার জন্য বৈধ হবে।
তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সার্বিক বিবেচনায়  বিকাশের মাধ্যমে টাকা টাকা প্রেরণ ও  গ্রহণে যদিও কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তা যেন সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সুদভিত্তিক কার্যক্রমে সহযোগিতার পর্যায়ে না হয়, তা লক্ষ্য রাখা উচিৎ।অতএব সেবাদাতা-কোম্পানি (যেমন,এখানে bkash রকেট) যদি সুদভিত্তিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের কাছে বেশি সময় টাকা গচ্ছিত রাখা উচিৎ নয়। কারণ এতে তারা গ্রাহকের টাকা কিছু সময়ের জন্য হলেও সুদভিত্তিক খাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পেয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (24 points)
অনিচ্ছা সত্ত্বেও এসব মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিবছর আমি কিছু সুদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাই। যেমন এবছর ৪৮ টাকা পেয়েছি। এ টাকা কি করব? 
by
দান করে দিন, দান করার জন্য আপনার সওয়াব হবে না; কিন্তু আপনি সুদ খেলে গুনাহ হতো, তাহলে আপনি যে সুদ খেলেন না তার জন্য সওয়াব হবে না কেন? অবশ্যই হবে। আর এ টাকা আপনার জন্য হারাম কিন্তু যাকে দান করলেন তার জন্য হালাল(যদিও এটাকে দান বলা যায় না, প্রদান বলাই যথাযথ)।
by
এখন আমরা যদি এজেন্ট নিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করি তাহলে কি সুদি ব্যাংক কে সাহায্য করা হবে?
by
আসসালামুয়ালাইকুম
আমার বিকাশে অধিকাংশ সময় বিভিন্ন মানুষ টাকা আনে।
 টাকা উঠানোর সময় তাদের খরচের টাকা থেকে কিছু পয়সা বা টাকা থেকে যায়।
 এখন আমার জানার বিষয় হল , উক্ত পয়সা বা টাকা কি আমি ব্যবহার করতে পারব?
 বিস্তারিত জানাবেন কিতাবের উদ্ধৃতি সহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...