উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে ফেসবুক,মেসেঞ্জার,ইমো,এসএমএস ইত্যাদি যেকোনো মাধ্যমে তালাক দেয়,তাহলে সাথে সাথে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
যদিও স্ত্রী সেই মেসেজ বা সেই লেখা না পড়ুক।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৯/৩০২)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো স্বামী ফেসবুক বা মেসেঞ্জারে তালাক দেয়,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
যদি এক তালাক দেয়,তাহলে এক তালাক হবে।
যদি তিন তালাক দেয়,তাহলে তিন তালাক পতিত হবে।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
ثم المرسومۃ لا تخلو إما أن أرسل الطلاق بأن کتب: أما بعد فأنت طالق فکما کتب ہٰذا یقع الطلاق، وتلزمہا العدۃ من وقت الکتابۃ، وإن علق طلاقہا بمجيء الکتاب بأن کتب، إذا جاء ک کتابي فأنت طالق، فجاء ہا الکتاب فقرأتہ أو لم تقرأ یقع الطلاق، کذا في الخلاصۃ۔ (شامي مع الدر المختار ۴؍۴۵۶ زکریا)
যার সারমর্ম হলো স্ত্রী লেখাটি পড়ুক আর নাই পড়ুক,স্বামী যদি লেখে যে তুমি তালাক,বা তোমাকে তালাক দিলাম,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
বাদাইউস সানায়ে' গ্রন্থে আছেঃ
إن کتب علی وجہ المرسوم ولم یعلقہ بشرط بأن کتب أما بعد یا فلانۃ فأنت طالق وقع الطلاق عقیب کتابۃ لفظ الطلاق بلا فصل، لما ذکرنا أن کتابۃ قولہ: أنت طالق علی طریق المخاطبۃ بمنزلۃ التلفظ بہا۔ (بدائع الصنائع ۳؍۱۰۹)
যদি স্বামী তালাকের কথা লেখে,তালাককে কোনো শর্তের সাথে যুক্ত না করে,তাহলে লেখা মাত্রই তালাক পতিত হয়ে যাবে।
,
The provision of the Shari'ah is that if the husband divorces his wife through any of Facebook, Messenger, imo, SMS etc., then the divorce will fall as well. Although the wife does not read that message or that text. (Kitabun Nawazel 9/302)