আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ পরিবারের একজন সদস্য ইন্তেকাল করেছেন। তার কিছু নামাযের জন্য কাফফারা স্বরূপ টাকা খরচ করা হয়েছে। আমার কাছেও 500/- দেয়া হয়েছে উপযুক্ত খাতে খরচের জন্য। আমার এক অভাবী বন্ধু আমার থেকে ১০০০/- ধার নিয়েছে। এখন আমি কি ওই বন্ধুকে উল্লিখিত 500/- দিতে পারবো?  ধার থেকে কর্তণ করে ওই 500/- কি আমার নিকট রেখে দিতে পারবো?

2/ ধারের টাকা ফেরত দেয়ার সময় কি আমি তাকে বিকাশের ক্যাশআউট চার্জ বহন করতে বলতে পারব?এটা কি সুদ হবে? সে নেয়ার সময় হাতে হাতে নিয়েছিলো। যদি ক্যাশআউট চার্জ আমাকে বহন করতে হয় তাহলে তো কাউকে ধার দিলেই হাজারে 20টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে।

3/ কাউকে 5 বছরের জন্য টাকা ধার না দিয়ে স্বর্ণ  ধার দেয়া যাবে কি?  এই শর্তে যে আমাকে 5 বছর পর একই পরিমানের স্বর্ণ ফেরত দিতে হবে, বাজারমূল্য যাই হোক? একই শর্তে স্বর্ণের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা ধার দেয়া যাবে কি?  যে বাজারমূল্য যাই হোক 5 বছর পর একই পরিমাণ স্বর্ণের দামের সমান টাকা ফেরত দিতে হবে?
by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم

  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!

১.জ্বী আপনি আপনার উক্ত বন্ধুকে কাফ্ফারা স্বরুপ টাকা দিতে পারবেন। তবে প্রথমে তাকে উক্ত টাকার মালিক বানাতে অর্থাৎ তার হাতে টাকাটা দিতে হবে অতঃপর সে আপনার পাওনা টাকা পরিশোধ করার নিমিত্তে আপনাকে দিলে তা আপনার জন্য গ্রহণ করা জায়েয আছে।

২.নেওয়ার সময় যেমন হাতে হাতে নিয়েছিলো তেমনি পরিশোধ করার সময় সমপরিমাণ টাকা তার হাতে দিবে। কিন্তু বিকাশে বা নগদে টাকা পরিশোধ করলে টাকা পাঠানোর খরচ সহ পরিশোধ করতে হবে।এবং তা সুদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

৩.জ্বী প্রশ্নোক্ত পন্থায় স্বর্ণ ধার দেওয়া যাবে তবে স্বর্ণের সমপরিমাণ মূল্য উক্ত পদ্ধতিতে ধার দেওয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...