বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ,সেকল ক্ষেত্রে উনার জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয ও বৈধ।আর যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনুমোদন শরীয়তে নাই,সেসকল ক্ষেত্রে আপনার আম্মুর জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয হবে না।এমন নাজায়েয কাজে সহযোগিতা করার দরুণ আপনার আম্মুর অবশ্যই গোনাহ হবে।যেহেতু তিনি প্রতিষ্টানে চাকুরী করেন,যেখানে হালাল হারামের কোনো তোয়াক্কা করা হবে না,তাই উনার জন্য এমন চাকুরী গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে যেহেতু হারাম কাজের সাথে সাথে হালাল কাজও রয়েছে।আপনার বিবরণমতে দেখা যাচ্ছে যে, হারাম কাজের তুলনায় হালাল কাজের আধিক্যই বেশী।তাই আপনার বাবা মায়ের ইনকামকে আমরা হারাম বলতে পারছি না।সুতরাং আপনার বাবা মায়ের ইনকাম হালালই হবে।
হ্যা, আপনাদের ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা থাকলে অবশ্যই আপনারা এই টাকাকে বিসর্জন দিতে পারবেন।সদকাহ করে দিতে পারবেন।
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)