জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৪)
الدر المختار: لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ، تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا
সারমর্মঃ
কোনো নাপাক কাপড় যদি পানি দ্বারা ভিজে যায়,এক্ষেত্রে সেই ভেজা কাপড়ের সাথে পবিত্র কাপড় স্পর্শ করলে উক্ত নাপাক কাপড় যদি নিংড়ানোর দ্বারা নিংড়ানো যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আর যদি উক্ত নাপাক কাপড় পেশাব ইত্যাদি মিশ্রিত হয়,তাহলে সেই পবিত্র কাপড়ে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ পাওয়া গেলে সেই পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
নতুবা নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখিত পবিত্র কাপড় গুলোতে নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটিকে পাক হিসেবেই ধরতে হবে।
আর যদি নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া যায়,তাহলে সেটিকে নাপাক হিসেবে ধরতে হবে।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি সেই কাপড় গুলো চেক করেছিলেন,সুতরাং চেক করার সময় যেহেতু আপনি সেই কাপড় গুলোতে নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পাননি,তাই সেই কাপড় গুলো নাপাক হয়ে যায়নি।
,
আপনি সন্দেহ মুক্ত থাকতে পারেন।
,
তবে আপনি লিখেছেন যে আপনি ১০০% দেখেননি,শিওর নন।
তাই আপনি এই ক্ষেত্রে একটি কাজ করুনঃ-
★যেই কাপড় গুলোতে আপনি নামাজ পড়বেন,যেমন জায়নামাজ,সেই কাপড় গুলো ধুয়ে নিবেন।
অন্য কাপড় গুলো ধোয়ায় প্রয়োজন নেই।
এক্ষেত্রে তোশক/বিছানা ধৌত করতে হবেনা,কেননা তার উপর তো কেউ নামাজ পড়বেনা।
যদি কেহ নামাজ তার উপরে পড়েও,সেক্ষেত্রে তার উপর জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়বেন।
তাহলে কোনো সমস্যা হবেনা।