আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)

১। সুরা আল-ফাজ্র এ ১৪ নম্বর আয়াতে মিরসদ একটা শব্দ আসে ওটার ব্যাখ্যায় একজন বলেসেন ওখানে পুলসিরাত নিয়ে ব্যাখ্যা আসে কিন্তু আমি কোন তাফসির এ সেতার ব্যাখ্যা পাইলাম না ? তাহলে পুলসিরাত এর ব্যাখ্যা কোন আয়াতে আসে কুরআন এর ? নিচের লিঙ্ক থেকে এটা পেয়েসিলাম ?

https://www.islamquest.net/en/archive/fa367

২। দাড়ি তে খুর ধরলে সে যেন নবিজির গলান খুর ধরল এরককম কি কোন হাদিস আসে কি ?

 

1 Answer

0 votes
by (57,120 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

*সুরা ফাজর এ ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ

অর্থাৎ  নিশ্চয় তোমার পালনকর্তা ঘাঁটিতে সদা সতর্ক থাকেন’।   رَصَد يَرْصُد رَصَدًا ওঁৎ পেতে থাকা’। সেখান থেকে مَرصد مِرصاد অর্থ সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখার ঘাঁটি যা সাধারণতঃ কোন উঁচু স্থানে স্থাপিত হয়ে থাকে’। আল্লাহপাক নিজেকে সেই ঘাঁটিতে অবস্থানকারী বলেছেন। এর দ্বারা তিনি বান্দাকে সাবধান করেছেন। হাসান বাছরী ও ইকরিমা বলেন, এর অর্থ يرصُدُ عَملَ كلِّ إنسان حتى يجازيه به ‘তিনি প্রতিটি মানুষের কাজের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন, যাতে তাকে যথার্থ প্রতিদান ও প্রতিফল দিতে পারেন’ (কুরতুবী)।

ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এর অর্থ يَسْمَعُ وَيَرَى ‘তিনি শোনেন ও দেখেন’। অর্থাৎ আল্লাহ বান্দার সকল গোপন ও প্রকাশ্য কথা ও কাজ দেখেন ও শোনেন ও সে হিসাবে তার প্রতিফল দিয়ে থাকেন। ইমাম কুরতুবী জনৈক আরব থেকে বর্ণনা করেন, একবার তাকে বলা হ’ল أين ربك ‘তোমার প্রভু কোথায়?’ জওয়াবে তিনি বলেনلبالمرصادঘাঁটিতে’। আমর ইবনু ওবায়েদ হ’তে বর্ণিত হয়েছে যে, একবার তিনি এই সূরাটি আববাসীয় খলীফা আবু জা‘ফর মানছূরের (১৩৬-১৫৭হিঃ/৭৫৪-৭৭৫ খৃঃ) সামনে পাঠ করেন। যখন তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন, তখন মানছূর বলে ওঠেন يا ابا جعفر ‘হে আবু জাফর’! যামাখশারী বলেন, মানছূরের এই চিৎকার ধ্বনির মধ্যে তীব্র ভয় প্রকাশ পায়। কেননা এর মধ্যে অহংকারী শাসকদের জন্য দারুণ ধমকি রয়েছে (কুরতুবী)

সুতরাং উক্ত আয়াতে পুলসিরাত নিয়ে কোন আলোচনা করা হয়নি।

*পুলসিরাত শব্দ নিয়ে সরাসরি না বললেও মহান আলাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন :

وَإِن مِّنكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا ۚ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا

 তোমাদের প্রত্যেকেই তা (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে; ওটা তোমার রবের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। (সূরা : মারিয়াম,আয়াত-৭১) আলোচ্য আয়াতে পুলসিরাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

পুলসিরাত অতিক্রম করা সম্পর্কে রাসূলুলাহ সা: বলেছেন, ‘সেদিন কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ বাতাসের গতিতে, কেউ ঘোড়ার গতিতে, কেউ আরোহীর গতিতে, কেউ দৌড়িয়ে, আবার কেউ হাঁটার গতিতে (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে।’ (তিরমিজি, দারেমি) উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুলাহ সা: বলেছেন, ‘জাহান্নামের ওপর একটি পুল আছে, যা চুলের চেয়েও বেশি চিকন আর তরবারির চেয়েও বেশি ধারালো। এর ওপর লোহার শিকল ও কাঁটা থাকবে। মানুষ এর ওপর দিয়েই গমন করবে। কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ বায়ুবেগে আর কেউ উত্তম ঘোড়া ও উটের গতিতে পুলসিরাত পার হবে। আর ফেরেশতারা বলতে থাকবে, হে প্রভু! সহিসালামতে অতিক্রম করাও, হে প্রভু! নিরাপদে পার করাও। কেউ নাজাত পাবে, কেউ আহত হবে, কেউ উপুড় হয়ে পড়ে যাবে আর কেউ অধঃমুখী হয়ে জাহান্নামে পড়ে যাবে।’ (মুসনাদে ইমাম আহমদ : ২৪৮৪৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...