আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
368 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
১. কোন মুসলিম নর-নারীকে যদি চরিত্র নিয়ে অপবাদ দেয়া হয় এবং পরে অপবাদকারী ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়, যাকে অপবাদ দিয়েছে তার কাছে ক্ষমা চায়,তওবা  তবে কি তার উপর হদ কায়েম হবে?
২. যদি হদ কায়েম করতে হয় তবে কিভাবে? কারণ আমাদের দেশে তো কুরআনের আইন নেই। তাহলে এ হদ কে কায়েম করবে? যে কেউ কি এ শাস্তি দিতে পারবে? হদ কায়েমে কি স্বাক্ষীর দরকার আছে অর্থাৎ স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে হদ কায়েম করা লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানার রাহিম


জবাবঃ-
(১)
وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান।(সূরা নুর-৪)

অপবাদকারীর শাস্তি হলো ৮০টা বেত্রাঘাত।

(২)
والحد في الشريعة العقوبة المقدرة حقا لله تعالى حتى لا يسمى القصاص حدا لما أنه حق العبد ولا التعزير لعدم التقدير كذا في الهداية وركنه: إقامة الإمام أو نائبه في الإقامة
আল্লাহর হক হিসেবে উনার নির্ধারিত কিছু শাস্তিকেই মূলত হদ বলা হয়।কেসাসকে হদ বলা যাবে না।কেননা কাসাসে বান্দার হকও রয়েছে।এবং তা'যিরকে হদ বলা যাবে না।কেননা তা'যিরে নির্ধারিত কোনো শাস্তি নেই।হদের রুকুন হলো,ইমাম বা ইমামের অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে শাস্তি কার্যকর হওয়া।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া২/১৪৩)

উপরোক্ত আলোচনার বিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে,রাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কেউ হদ কায়েম করতে পারবে না।একমাত্র রাষ্ট্রই হদ কায়েম করতে পারবে।

সুতরাং জনসাধারণ হদ কায়েম করতে পারবে না।বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলমানদের উচিৎ,হদকে প্রচলিত আইনে পরিণত করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।

এখন একমাত্র তাওবাহ করার মাধ্যমেই হদের হুকুমের উপর আ'মল করা হবে।






(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...