জবাবঃ-
(১)
وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান।(সূরা নুর-৪)
অপবাদকারীর শাস্তি হলো ৮০টা বেত্রাঘাত।
(২)
والحد في الشريعة العقوبة المقدرة حقا لله تعالى حتى لا يسمى القصاص حدا لما أنه حق العبد ولا التعزير لعدم التقدير كذا في الهداية وركنه: إقامة الإمام أو نائبه في الإقامة
আল্লাহর হক হিসেবে উনার নির্ধারিত কিছু শাস্তিকেই মূলত হদ বলা হয়।কেসাসকে হদ বলা যাবে না।কেননা কাসাসে বান্দার হকও রয়েছে।এবং তা'যিরকে হদ বলা যাবে না।কেননা তা'যিরে নির্ধারিত কোনো শাস্তি নেই।হদের রুকুন হলো,ইমাম বা ইমামের অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে শাস্তি কার্যকর হওয়া।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া২/১৪৩)
উপরোক্ত আলোচনার বিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে,রাষ্ট্র ব্যতীত অন্য কেউ হদ কায়েম করতে পারবে না।একমাত্র রাষ্ট্রই হদ কায়েম করতে পারবে।
সুতরাং জনসাধারণ হদ কায়েম করতে পারবে না।বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলমানদের উচিৎ,হদকে প্রচলিত আইনে পরিণত করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।
এখন একমাত্র তাওবাহ করার মাধ্যমেই হদের হুকুমের উপর আ'মল করা হবে।