আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আমাদের স্কুলে ক্লাস টেন পড়ুয়াদের জন্য প্রতি বছরের মতো বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেখানে ফ্রি মিক্সিং হবে এবং গানবাজনা, ছবি ইত্যাদি হারাম কাজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ঐদিন ঐ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার নিয়ত করেছি ইন শা আল্লাহ।
কিন্তু আমাদের সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য চাঁদা তোলা হবে। এই চাঁদা মূলত ব্যবহার করা হবে খাবার, শিক্ষকদের জন্য গেঞ্জি, শার্ট, মগ হাদিয়া, এবং অন্যান্য কাজে। ঐ দিন আবার সব মেয়েরা একইরকম থ্রিপিসও পরে। শুধু গুটিকয়েকজন মেয়েই পর্দা করে এবং তাদের আাসার সম্ভাবনা নেই। ঐ থ্রিপিস তো নিশ্চয়ই পর্দার কাজ করবে না, যেহেতু বেশিরভাগ মেয়েই বেপর্দা। হয়তো ঐ চাঁদার মধ্যে ড্রেস সেলানোর টাকাও নিয়ে নিবে। যদিও আমি ঐ ড্রেস সেলাবো না।
★ যদি খাবার ও শিক্ষকদের হাদিয়ার জন্য টাকা দিই, এতে তো কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে এগুলোর জন্য চাঁদা আলাদা নেয়া হবে না। ঐ যে মেয়েদের জন্য কাপড় কেনা, গানবাজনার আয়োজন, ছবি তোলা ইত্যাদি কাজের জন্য টাকাও কিন্তু ঐ চাঁদার মধ্যেই।
(এখন আমি যদি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না-ও করি, তবুও আমার কাছ থেকে চাঁদা খুঁজবে। না দিলে অপমান, সমালোচনা ইত্যাদি করতে পারে। কারণ অংশগ্রহণ করাটা বাধ্যতামূলক, কিন্তু আমি এটা কাউকে না জানিয়ে ফাঁকি দিতে চাচ্ছি গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য।)
★ শায়েখ, তাহলে চাঁদা দেয়া কি আমার জন্য জায়েজ হবে? আর আমার দেয়া টাকার কিছু অংশ হারাম কাজে যদি তারা ব্যয় করে, এর জন্য আমার গুনাহ হবে? যদি পুরোপুরি হারাম কাজ হতো, আমি কখনো এর জন্য চাঁদা দিতাম না। কিন্তু আমি টাকা দিচ্ছি, এর দ্বারা খাবার এবং শিক্ষকদের হাদিয়াও কেনা হবে তাই। টাকা দিলে আমার দ্বারা কি হারাম কাজে সহযোগীতা করা হবে? আমার এখন কি করা উচিত শায়েখ?
জাযাকুমুল্লাহ খইর।