উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
.
শরীয়তের বিধান হলো যদি কেহ গুনাহের কাজ করার কসম করে,তাহলে তা না করাই ওয়াজিব।
(ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৭০২)
যদি কেহ গুনাহের কাজ করার কসম করে,তাহলে সে ঐ গুনাহ করবেনা,কাফফারা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৬/৩৪)
,
লেনদেন যদিও তা সুদভিত্তিক হোক,তারপরেও কেহ যদি সেক্ষেত্রে আল্লাহর নামে কসম করে,সেই কসম এর কাফফারা তাকে আদায় করতে হবে।
তাই উক্ত ব্যাক্তির উপর কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব।
,
কাহারো উপর যদি একাধিক কাফফারা ওয়াজিব হয়ে থাকে,তাহলে তার জন্য একটি কাফফারা আদায় করাই যথেষ্ট।
ফাতাওয়ায়ে রিয়াজুল উলুম ৩/২৯৮
,
মারাকিল ফালাহ গ্রন্থে আছেঃ
کما في المراقي علیٰ ہامش الطحطاوي :۳۶۷)وکفت کفارۃ واحدۃ عن جماع وأکل عمداً متعدد في أیام کثیرۃ ولم یتخللہ أي الجماع أو الأکل عمداً تکفیر؛ لأن الكفارة للزجر وبواحدۃ یحصل ولو کانت الأیام من رمضانین علی الصحیح للتداخل بقدر الإمکان
যার সারমর্ম হলো যেহেতু কাফফারা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে দেওয়া একটি শাস্তি,যেটা একটার দ্বারাই যথেষ্ট হয়।
তাই একটি কাফফারা আদায় করলেই হয়ে যাবে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি একাধিক কসমের জন্য একটি কাফফারা আদায় করলেই তা যথেষ্ট হবে।