আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
460 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)

ছেলেকে কেবল বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে আমার বাবা। ছেলে ঢাকায় থাকে এ মূহুর্তে চট্টগ্রামে আসতে নাকি পারবে না তাই পাএীর সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাট করার মাধ্যমে কিংবা ফোনে কথা বলতে চাচ্ছে। 
আমরা বলেছি সরাসরি দেখাদেখির কথা, কিন্তুু পাএ বলছে এ মূহুর্তে  আসতে পারবে না। বলে রাখি আমি ফোনে কিংবা চ্যাটে কথা বলবো না বলেছি কারণ ফিতনায় পরার আমার অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। 
পাএ আমাকে মেসেঞ্জারে বার বার মেসেজ দিচ্ছে কিন্তুু আমি ফিতনায় পরার আশংকায় কোনো উওর দিচ্ছি না তাকে।
এক্ষেত্রে কি পাএের সাথে ফোনে কিংবা মেসেঞ্জার চ্যাটে কথা বলা উচিত হবে?

 

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 
,

পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,   
শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে।কথা বলতে পারবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)

যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً فَقَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا؟» قُلْتُ : لَا قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّه أَحْرٰى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا»

মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জনৈকা নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, তুমি কি তাকে দেখেছ? আমি বললাম, না, দেখিনি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তাকে দেখে নাও। কেননা, এই দেখা তোমাদের মাঝে (বৈবাহিক সম্পর্ক) প্রণয়-ভালোবাসা জন্ম দিবে। 
(নাসায়ী ৩২৩৫, তিরমিযী ১০৮৭, ইবনু মাজাহ ৮৬৬৫, আহমাদ ১৮১৫৪, সহীহাহ্ ৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৮৫৯।)

بَابُ النَّظِرِ إِلَى الْمَخْطُوْبَةِ وَبَيَانِ الْعَوْرَاتِ

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

 (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে। 
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫।)

,
★সুতরাং পাত্র বা পাত্রি সম্পর্কে জানার আর কোনো মাধ্যম পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে পাত্র পাত্রী ফোনে যোগাযোগ করে কেবল জরুরী বিষয়টুকু জেনে নিতে পারবে। 
,
তবে এখানে কিছু শর্ত রয়েছেঃ
*মুবাহ তথা বৈধ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না

*ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।

*মহিলা নরম ভাষায় কথা বলবে না।
,
যদি ফোনে না বলে সামনা সামনিই কথা বলে,তাহলে মহিলার কোনো মাহরাম এর উপস্থিতি জরূরী।   

বিস্তারিত জানুনঃ 
 
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
যার সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে তার সাথে বিয়ে হওয়ার আগেই, ছেলে মেয়ে উভয়ে ফোনে কথা বলতে পারবেনা।
,
তবে উপরে উল্লেখিত শর্তের ভিত্তিতে শরীয়তের গন্ডির আওতায় থেকে অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবে।    

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি ফোনে কিংবা চ্যাটে কথা বলতে চাচ্ছেননা, কারণ ফিতনায় পরার আপনার অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। 

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাএের সাথে ফোনে কিংবা মেসেঞ্জার চ্যাটে কথা বলা উচিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...