আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
300 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
আসসালামুআলাইকুম।

১) আসরের নামাজে শেষ বৈঠকে ইমামের পিছে তাশাহুদ পড়ি।দরূদের শেষের দিকে ওয়া আলা আলি ইব্রহিম এতটুকু পড়তে পড়তে ইমাম সালাম ফিরান তাই আমিও সালাম ফিরাই।ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ এতটুকু পড়ি নাই এতে কি সমস্যা হবে?

২)সূরা ফাতিহার পর আমিন না বললে নামাজ হবে?

৩) জামাতে নামাজের সময় সমিয়াল্লাহু লিমান হামীদাহ বলার পর রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ কি শুধু মুসল্লি বলবে নাকি ইমাম ও বলবে?

৪) হানাফি মাযহাব অনুসারে ইমামের পিছে কিরাত করতে হয় না।এরপরও কেউ যদি ইমামের পিছে সূরা ফতিহা পরে তাহলে কি তার নামাজ ফাসিদ হবে?

৫)নামাজে এক রুকুন থেকে অন্য রুকূনে যেতে ইমামের থেকে দেরি করলে কি নামাজ ফাসিদ হবে?ধরুন ইমাম তাশাহুদ পরে দাড়িয়ে গেছে আর মুসল্লি পড়তেছে বা ইমাম সিজদা থেকে দাড়িয়ে গেছে মুসল্লি তাও সিজদার তাসবিহ পড়তেছে এতে কি নামাজ ফাসিদ হবে?

৬) মুসল্লির যদি দোয়া মাসূরা বা দরুদ বাকি থাকে অল্প একটু তাই মুসল্লি যদি ঈমামের দেরীতে সালাম ফিরায় তাহলে নামাজ হবে? ঈমাম এর দুইদিকে সালাম ফিরানোর ও পরে যদি মুসল্লি সালাম ফিরায় তাহলে নামাজ হবে?

৭)এটা গত বছরের কথা।তখন করনকালিন সময়ে বাড়িতে ছিলাম এবং ঘরেই জামাত আদায় করতাম।একদিন আমার ভাগিনা জামাতে ইমামতি করে।তার আগে থেকেই ওয়াসওয়াসা রোগ আছে।তখন আরো বেশি ছিল।তার বারবার মনে গত অজু ভেঙে গেছে।একদিন আছরে সে আমার এবং আমার বাবার ইমামতি করে।পরে সে নামাজ শেষে বলে তার নাকি অজু ভেঙে গেছিল কিন্তু সে ভয়ে বলে নাই।আমি তখন পাত্তা দেই নাই।এখন কি ওই নামাজ আবার পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে ইমামের সালাম ফিরানো সত্ত্বেও আপনার জন্য দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাছুরা পড়ে সালাম ফিরানোর নিয়ম ছিলো। 
,
(০২)
সুরা ফাতেহাত পর আমিন বলা সুন্নাত।
কেহ যদি আমিন না বলে,এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে এতে একটি সুন্নাত আদায় হলোনা।
,

(০৩)
শুধু মুছল্লিরা বলবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবীর বলে তখন তোমরা তাকবীর বল। আর যখন কিরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। যখন ইমাম তিলাওয়াত করে “ওয়ালাদ্বল্লীন” তখন আমীন বলো। আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন বল রাব্বানা লাকাল হামদ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৮৮৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪৬, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৪৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭১৩৭]

(০৪)
নামাজ ফাসিদ হবেনা।
,
(০৫)
না,প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ফাসেদ হবেনা।
,
(০৬)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে।
বরং এটিই মূলত নিয়ম। 
,
(০৭)
হ্যাঁ ঐ নামাজ আবার পড়তে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (102 points)
শায়খ ৭ নামবারে একটু বলি আমার ওই ভাগিনা প্রচুর ওয়াসওয়াসার রোগী।সে এখনো সবকিছুকে নাপাক মনে করে। ঘরে ঝাড়ু দেওয়ার সময় ঝাড়ু পায়ে লাগলেও মনে করে পা নাপাক হয়ে গেছে।অজু আছে নাকি নাই এটা মনে করেই একই নামাজকে ২-৩ বার দোহরায়।এমনকি দুই তিনদিন আগের কোনো এক নামাজও হালকা সন্দেহের কারণেই আবার দোহারায়।এখন তার এই সন্দেহকে ভিত্তি করে কি আমাদের নামাজ হয়নি ধরে নিব?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 1,937 views
...