জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَدْرَكَ عُمَرَ وَهُوَ فِي رَكْبٍ وَهُوَ يَحْلِفُ بِأَبِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ لِيَحْلِفْ حَالِفٌ بِاللَّهِ أَوْ لِيَسْكُتْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কাফেলার সাথে উমর (রাঃ)-কে এরূপ অবস্থায় পেলেন যে, সে সময় তিনি তার বাবার নামে শপথ করছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অবশ্যই তোমাদেরকে তোমাদের বাবার নামে শপথ করতে আল্লাহ তা'আলা বারণ করছেন। হয় শপথকারী আল্লাহ্ তা'আলার নামে শপথ করবে না হয় নিরব থাকবে।
(তিরমিজি ১৫৩৪)
কসম বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো, ‘আল্লাহ’ নাম নিয়ে বা তাঁর গুণবাচক নাম নিয়ে কসম করা। আল্লাহর ইজ্জতের কসম, আল্লাহর মর্যাদার কসম—এজাতীয় শব্দ দ্বারা কসম করা যেতে পারে। কিন্তু আল্লাহর ইলমের কসম, আল্লাহর রাগের কসম, আল্লাহর রহমতের কসম—এজাতীয় কসম শুদ্ধ নয়।
যদি কেউ কোরআনের কসম খায়, তাহলে সেটা কসম বলে বিবেচিত হবে। যদি এইভাবে বলে যে কোরআনের কসম, কালামুল্লাহ কসম অথবা কোরআনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলল, এই কোরআনে যে আল্লাহর কালাম আছে তার কসম, তাহলে কসম হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৫/৪৮৮)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত শপথ নামে শপথ হলেও শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে এটি শপথ নয়।
এর বিপরিত কিছু করার দ্বারা কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত শপথে যদি শরীয়তের খেলাফ কিছু না থাকে,তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য এ জাতীয় বৈধ শপথ করার অনুমতি রয়েছে।
,
(০২)
এক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থা অনুসন্ধান করে দেওয়াটাই উত্তম।
তবে বাস্তব অবস্থা অনুসন্ধান না করে দেওয়া হলেও শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে ভিক্ষা দিতে সমস্যা নেই।
যদি সে ধনী বা সুস্থ-সবল,উপার্জন সক্ষম হয়,সেক্ষেত্রে গুনাহ তারই হবে।
আপনার নয়।
,
আরো জানুনঃ